এরআগে সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে ভৈরব জংশনের কাছাকাছি জগন্নাথপুর এলাকায় এগারসিন্দুর ও চট্টগ্রামগামী মালবাহী ট্রেনের মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৭ জন নিহত হন। নিহত ১৬ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে একজনের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি।
মালবাহী ট্রেনটি সিগন্যাল অমান্য করায় ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৬ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরমধ্যে একই পরিবারের রয়েছেন চারজন। বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ জানান, ১৬টি মরদেহ রাতেই তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক। তাদের মধ্যে ২০ জনকে ঢাকায়, ৪০ জনকে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম ও কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ১২ জনকে অন্যান্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এখন পর্যন্ত নিহত ১৬ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সুজন মিয়া (৩৫), তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৩০), তাদের দুই ছেলে সজীব মিয়া (১৪) ও ইসমাইল মিয়া (১০); কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার দড়িগাঁও গ্রামের আছির উদ্দিন (৩০), মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া গ্রামের রাসেল মিয়া (২১), চানপুর গ্রামের সাইমন মিয়া (২৬), ভৈরব পৌর শহরের টিনপট্টি এলাকার বাসিন্দা সুবোধ শীল (৪৫), ভৈরব পোস্ট অফিসের সহকারী পোস্ট মাস্টার হুমায়ুন কবির জাহাঙ্গীর (৫৫), ভৈরব যুব উন্নয়ন কার্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ জালাল আহমেদ, ঢাকা কলেজের ছাত্র ভৈরবের রাধানগর গ্রামের আফজাল হোসেন (২৩), ভৈরব পৌর শহরের রানীরবাজারের সবুজ চন্দ্র শীল (৫০), ভৈরব উপজেলার শ্রীনগরের রাব্বি মিয়া, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মেরেঙ্গা গ্রামের হোসনা আক্তার, কুলিয়ারচর উপজেলার লক্ষ্মীপুর এলাকার ইমারুল কবীর (২২) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার বরইছড়া এলাকার নিজাম উদ্দিন সরকার। দুর্ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রেলপথে ট্রেন চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ভৈরব রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার মো. ইউসুফ মিয়া।
ইউকে/এএস