টিকা কর্মসূচি পুরোপুরি শুরু হয়নি

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেছেন, উত্তরবঙ্গের হাসপাতালগুলো করোনা রোগীতে ভরে গেছে। রোগীদের সামাল দেওয়া কঠিন হচ্ছে।আমরা চাইনা ঢাকা ও দেশের অন্যান্য জেলাগুলোতে এই সমস্যা দেখা দিক। দেশে যখন করোনা নিয়ন্ত্রণে ছিল, তখন সারাদেশের হাসপাতালে ১৫শ মতো রোগী ছিল। সংক্রমণ বাড়ায় বর্তমানে সারাদেশে ৪ হাজারের মত রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে এবং প্রত্যেক দিন প্রায় ৪ হাজারের কাছে নতুন রোগী আক্রান্ত হচ্ছে। বর্তমান এই হারে যদি রোগী বাড়ে, তাহলে হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীদের জায়গা দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।

শুক্রবার (১৮ জুন) দুপুরে মানিকগঞ্জ গড়পাড়া নিজ বাসভবনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে টিকা কর্মসূচি এখনো পুরোপুরিভাবে শুরু করতে পারিনি। আমরা আশা করছি খুব শিগগিরই টিকা পেয়ে যাবো। চায়নার ও রাশিয়ার কাছ থেকে টিকা পাবো এবং ভারতের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে সেখান থেকেও পাবো। কিন্তু এখনো তা পাওয়া যায়নি। টিকা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু একজন মানুষের সুরক্ষিত হয় না, আরও এক মাস সময় লাগে। ভারতে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট আমাদের দেশেও এসেছে, এর সংক্রমণের ক্ষমতা ৫০ ভাগ বেশি। কাজেই এই সময়টা আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, নিজেদের রক্ষা করতে হবে, পরিবারকে রক্ষা করতে হবে, দেশকে রক্ষা করতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরো বলেন, যে সমস্ত দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে নাই বা ছিল না সেই সমস্ত দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের অর্থনীতি এখনো ভাল আছে। এখনো লোকজন কাজ করছে। কিন্তু করোনা যদি আরো বাড়ে তাহলে যে লকডাউন হচ্ছে, আরো লকডাউন দিতে হয়, যানবাহনে যদি লকডাউন দিতে হয় তাহলে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ কারণেই আমাদের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে হবে। এর বাইরে কোনো সুযোগ নেই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাফিল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার, সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন, বালিয়াটি ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমীন, ধানকোড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল রউফ, সাটুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন পিন্টু, তিল্লি ইউপি চেয়ারমান মোরসালিন বাবু প্রমুখ।

ইউকে/এসএম