জলবায়ু ও ন্যায্যতায় তারুণ্য শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগীতা

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: উন্নয়ন হোক পরিবেশ জলবায়ুকে গুরুত্ব দিয়ে, তথ্য প্রযুক্তির আবিষ্কারও হোক প্রাণপ্রকৃতি ও পরিবেকে গুরুত্ব দিয়ে। যে তথ্য প্রযুক্তি আমাদের পরিবেশকে ধ্বংস করছে, যে উন্নয়ন আমাদের গাছ কেটে মরুভূমি করে ফেলছে, যে উন্নয়ন আমাদের পাখি বণ্যপ্রাণী এবং মানুষের সংকট তৈরী করছে, সেই উন্নয়ন কখানোই সুখকর হতে পারেনা। উন্নয়ন হোক সবার জন্য, উন্নয়ন সবার নিরাপত্তা সমানভাবে নিশ্চিত হোক। জলবায়ু ন্যায্যতা, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও আমাদের উন্নয়ন শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগীতায় বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উক্ত দিকগুলো তুলে ধরেন।

আজ মঙ্গলবার ( ১৪ নভেম্বর) দিনব্যাপী বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেট ভবনে স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন ছোট্ট স্বপ্ন,র এর আয়োজনে ও উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক’র সহযোগীতায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এবং জলবায়ু ন্যায্যতা, আমাদের পরিবেশ ও তরুণদের করনীয় শীর্ষক আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিতর্ক প্রতিযোগীতায় দিনব্যাপী আটটি দল অংশগ্রহণ করেন। বিতর্কের বিষয়গুলো ছিলো- জলবায়ু ঝঁকি মোকাবেলায় জলবায়ু তহবিল কার্যকরী ভ’মিকা পালন করে, জলবায়ু পরিবর্তনে বিশে^র ধনী দেশগুলোই একমাত্র দায়ী, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান হুমকি। উক্ত বিষয়গুলো পক্ষে বিপক্ষে শিক্ষার্থীরা বিতর্ক করেন। এতে সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন ছোট্ট স্বপ্ন এর সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা, বিচারক হিসেবে ছিলেন বরেন্দ্র বিশ^বিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: রাকিবুল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নিখাতে জান্নাত বিনতে, শিক্ষক পার্থ কুমার নন্দ, শিক্ষক মো: জামিল চৌধরী।

বিতর্কের শেষ এবং ফাইনাল রাউন্ডে প্রতিযোগীতা করেন পলিটিক্যাল সাইন্স বিভাগ ডিবেটিং ক্লাব এবং ফার্মেসী ডিপার্টমেন্ট ডিবেটিং সোসাইটি। এতে চ্যাম্পিয়ন হন পলিটিক্যাল সাইন্স ডিপার্টমেন্ট ডিবেটিং ক্লাব। বিতর্ক শেষে জলবায়ু ও তরুণ সমাজ শীর্ষক সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়। এতে প্রদান অতিথি হিসেবে ছিলেন বরেন্দ্র বিশ^বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা, রেজিষ্টার মন্ডল, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার ফর ইন্টারডিসিপ্লিনারীর গবেষক অধ্যাপক ড. সুলতানা রাজিয়া, বারিসক’র গবেষক মো: শহিদুল ইসলাম।

প্রধান অতিথি বরেন্দ্র বিশ^বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা বলেন- আমাদের চারিপাশে যে উন্নয়ন হচ্ছে তা অবশ্যই পরিবেশকে গুরুত্ব দিয়ে করা দরকার। তিনি আরো বলেন জলবায়ু পরিবর্তনে ধনী দেশগুলো বেশি দায়ী হলেও, তাদের দায়বদ্ধতা একেবারেই কম।

ইউকে/এএস