গোলায় উঠল কৃষকের সোনালি ফসল

আব্দুল হামিদ মিঞা, নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা (রাজশাহী): শুধু মঙ্গা দূর নয়, অগ্রায়ন মানেই কৃষকের আনন্দ। কৃষকের শস্যোৎসব। নবান্নের এমন উৎসবে ১ অগ্রায়ন বৃস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাজশাহীর বাঘায় উপজেলা কৃষি অফিসের কার্যালয়ের আয়োজনে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কাটার উদ্বোধন করা হয়। সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের হাবাসপুর বিলে কৃষক ও উপজেলা দপ্তরের অফিসারদের নিয়ে ধান কেটে এর উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শারমিন আখতার,উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান।

‘‘ধান পেকেছে মাঠে মাঠে চাষির মুখে হাসি,হুলুদ রঙ্গা ঐ ফসলে,স্বপ্ন রাশি রাশি,-নতুন ধানে ভরবে গোলা,নেই কৃষানের ঘুম,নতুন ধানে নতুন চালে ,নব্বানেই ধুম” এমন আয়োজনকে ঘিরে আরো একটি স্বতন্ত্র অনুষঙ্গ ছিল বাঙালির হাজার বছরের নিজস্ব খাদ্যাভ্যাসের ‘পিঠা-পুলি’।

পরে নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জুয়েল আহম্মেদ, মনিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. আসাদুজ্জামান আসাদ, প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা. আমিনুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আফম হাসান, নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জোনাল অফিসের ডিজিএম সুবির কুমার দত্ত, আনসার ভিডিপি অফিসার মিলন কুমার দাস, পল্লী স য় ব্যাংক অফিসার মনিরুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন অফিসার এমরান আলী, প্রতিবন্ধী সাহায্য সহায়তা কেন্দ্রের অফিসার মুনসুর রহমান, কৃষক আবুল কালাম,সেন্টু মিঞা প্রমুখ।

উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান জানান, লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে এবার তার উপজেলায় বেশি জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। লক্ষ্য মাত্রা ছিল ১ হাজার ৯৯৩ হেক্টর। চাষ হয়েছে ২ হাজার ১২৪ হেক্টর জমিতে। বিঘা প্রতি ফলন হয়েছে ১৮ মন।#

ইউকে/এএইচ/এএস