বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: নভেম্বর পেরিয়ে চলে এসেছে ডিসেম্বর মাস। ইতোমধ্যে ডিসেম্বরেরও তিন দিন চলে গেছে। বাংলায় অগ্রহায়ণ মাসেরও অর্ধেক শেষ। অথচ দেখা মিলছে না শীতের। অথচ স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী এই সময়ে গ্রামাঞ্চলে শীত পড়ে যায়। দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় রাত ও ভোরের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও পুরোদমে শীত অনুভূত হচ্ছে না। সূর্য উঠার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ছে তাপমাত্রাও।
এ বছর আবহাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল যে, শীতকাল শুরু হবে কিছুটা দেরিতে। পাশাপাশি শীতের প্রকোপও থাকবে কম। তবে কবে থেকে নামবে পারদ তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তবে শীতের আগমন নিয়ে এবার বার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আজ রোববার (৩ ডিসেম্বর) আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপের ফলে এ সপ্তাহের শেষের দিকে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে দুই একদিন বৃষ্টি হতে পারে। ওই বৃষ্টির পরই নামবে পারদ।
তিনি বলেন, বর্তমানে যে তাপমাত্রা আছে তা স্বাভাবিক তাপমাত্রা থেকে কিছুটা বেশি। আশা করা যায়, ওই বৃষ্টির পর তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। এ সময় দিন ও রাতে গড়ে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা কমতে পারে। ফলে অনুভূত হবে শীত।
এদিকে রোববার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (দশম) জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় (১১.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮২.৭ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। যা আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
এই অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর সমূহে ২ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ইউকে/এএস