ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা ৯ জুলাই ইন্দোনেশিয়ার গোরোন্তালো প্রদেশের তুলাবোলো গ্রামে ভূমিধসে মারা যাওয়া একজনের দেহ বহন করে নিয়ে যাচ্ছেন। ইন্দোনেশিয়ার কেন্দ্রীয় দ্বীপ সুলাওয়েসিতে অবৈধ সোনার খনির কাছে ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে পৌঁছেছে। সেই সঙ্গে ৩৫ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা মঙ্গলবার এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

খনিজ সমৃদ্ধ দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দ্বীপপুঞ্জজুড়ে লাইসেন্সবিহীন খনি রয়েছে। পরিত্যক্ত স্থানগুলোতে স্থানীয়রা যথাযথ নিরাপত্তা সরঞ্জাম ছাড়াই অবশিষ্ট সোনার আকরিকের সন্ধান করে। তীব্র বৃষ্টির পর স্থানীয় সময় গত শনিবার গভীর রাতে গোরোন্তালো প্রদেশের বোন বোলাঙ্গো জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এর আগে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ১১ জন নিহতের কথা জানানো হয়েছিল। পরে গোরোন্তালো অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার কর্মকর্তা ইডা বাগুস নিওমান নগুরাহ আসরামা এএফপিকে জানান, ‘আজ (মঙ্গলবার) বিকেল পর্যন্ত…২৩ জন মারা গেছে, ৬৬ জন বেঁচে ফিরেছে এবং ৩৫ জনকে খোঁজা হচ্ছে।

একজন অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী কর্মকর্তা এর আগে বলেছিলেন, হতাহতদের কয়েকজন খনি শ্রমিক এবং অন্যরা খনির কাছাকাছি দোকান পরিচালনা করতেন। ইডা জানিয়েছেন, গত দুই দিনে উদ্ধার অভিযানের অংশ হিসেবে পুলিশ সদস্য, সেনাসহ ২৭০ জনেরও বেশি লোককে মোতায়েন করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি সেতু ভেঙে পড়ায় যানবাহন দুর্যোগের এলাকায় পৌঁছতে পারেনি। উদ্ধারকারীদের পায়ে হেঁটে সেখানে পৌঁছন।

এএফপি জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ায় নভেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে বর্ষাকালে ভূমিধসের প্রবণতা বেশি থাকে। তবে জুলাই মাস সাধারণত শুষ্ক মৌসুম। এই মাসে ভারি বৃষ্টিপাত বিরল। মে মাসে দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশে ভূমিধসের পাশাপাশি বন্যায় অনেকগুলো বাড়িঘর ভেসে যায় ও রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে অন্তত ১৫ জন মারা গিয়েছিল। এর এক মাস আগে একই প্রদেশে ভূমিধসে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউকে/এসই