লাইফস্টাইল বিভাগ: আজকাল এই ব্যস্ত জীবনে নারীরাও সমানভাবে কাজ করছেন পুরুষের সঙ্গে তার মিলিয়ে। পড়া শেষ করে একটা চাকরিতে ঢুকে বিয়ে করতেই বয়স ত্রিশ পেরিয়ে যাচ্ছে অনেকেরই। এরপর একটু গুছিয়ে উঠতে কখন যে বেশ দেরি হয়ে যায় বুঝে উঠতে পারেন না অনেকেই। আর এতো দিনেও মা হওয়া হলো না বলে আত্মীয়-বন্ধুদের মধুর কটুক্তিও কম সইতে হয় না। অন্যের কথায় কান দিয়ে লাভ তো কিছু নেই। নিজেদের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজেকেই নিতে হবে। যদি কিছুটা সময় নিজেদের মতো কাটিয়ে তারপর নতুন অতিথি আনতে চান সংসারে, তবে সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করে পরিকল্পনা করে নিন।
চল্লিশ পেরোলেই যে মা হওয়ার স্বপ্ন বাদ দিতে হবে তা কিন্তু নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন চল্লিশের পরে অনেকেই বিয়ে করছেন। করছেন সন্তানধারণও এটা অসম্ভব নয়। তবে এমন হলে প্রথম সন্তান নেওয়ার আগে কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে। কারণ বয়স বাড়লে সন্তানধারণ করার ক্ষমতা স্বাভাবিক নিয়মে কমতে থাকে। ডেনমার্কের আর্হাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৩৫-এর পরে যারা মা হচ্ছেন, তারা অনেক ভালোভাবে বড় করতে পারছেন সন্তানদের।
৪০ এর পরে সন্তান নিতে এজন্য যা করতে হবে-
বেশি বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হলে অনেকের ডায়াবেটিক ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। ফলে মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া মাত্র চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া এবং ব্যায়ামের অভ্যাস রাখাও জরুরি।
সন্তান গর্ভে আসার সময় থেকে পুরো সময়টা একজন বিশেষজ্ঞ গাইনি চিকিৎসকের পরামর্শে চলতে হবে। গর্ভকালীন যেকোনো জটিলতা দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
ইউকে/এসএম