নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার (২৬ জুন) সকাল ৮টা থেকে আজ রোববার সকাল ৮টার পর্যন্ত হাসপাতালটিতে মারা যান ১০ জন।
এ নিয়ে চলতি মাসেই রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২৯৭ জনের মৃত্যু হলো। এর আগে গত ১৭,১৮ ও ১৯ জুন ১০ জন করে মারা গিয়েছিলেন। ১০ জুনের পর প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ১২ থেকে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালটিতে।
আজ রোববার সকাল ৮টার আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে একজন করোনা পজিটিভ ছিলেন। এই ১০ জনের মধ্যে চারজন রাজশাহীর, চারজন নাটোরের এবং দুজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা ছিলেন।
নাটোরের চারজনের মধ্যে শুধু একজন করোনা পজিটিভ ছিলেন। করোনা নেগেটিভ হলেও শারীরিক অন্যান্য জটিলতায় মারা গেছেন রাজশাহীর একজন। এ ছাড়া রাজশাহীর অন্য তিনজন, নাটোরের তিনজন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুজন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
রোববার সকালে হাসপাতালের এক প্রতিবেদনে মৃত্যুর এই হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে সাতজন পুরুষ ও তিনজন নারী। বয়স বিবেচনায় ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিনজন পুরুষ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন পুরুষ, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে দুজন নারী এবং ষাটোর্ধ্ব তিনজন পুরুষ ও একজন নারী মারা গেছেন।
এর আগে গত ১ জুন (সকাল ৮টার আগের ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত) সাতজন, ২ জুন সাতজন, ৩ জুন নয়জন, ৪ জুন ১৬ জন, ৫ জুন আটজন, ৬ জুন ছয়জন, ৭ জুন সাতজন, ৮ ও ৯ জুন আটজন করে; ১০ জুন আটজন, ১১ জুন ১৫ জন, ১২ জুন চারজন, ১৩ জুন ১৩ জন, ১৪ ও ১৫ জুন ১২ জন; ১৬ জুন ১৩ জন, ১৭, ১৮ ও ১৯ জুন ১০ জন; ২০,২১ ও ২২ জুন ১৩ জন, ২৩ জুন ১৬ জন, ২৪ জুন ১৮ জন, ২৫ জুন ১৪ জন এবং ২৬ জুন ১৭ জনের মৃত্যু হয়।
হাসপাতালে বর্তমানে করোনা ডেডিকেটেড শয্যার সংখ্যা এখন ৩৫৭ টি। রোববার সকালে সর্বোচ্চ ৪৩৪ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিট থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫৫ জন। নতুন করে ভর্তি হয়েছেন সমান সংখ্যক রোগী। এর মধ্যে রাজশাহী থেকে ৩৭ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চারজন, নাটোর থেকে পাঁচজন, নওগাঁ থেকে দুজন এবং পাবনা থেকে ছয়জন করে রোগী ভর্তি হয়েছেন।
রোববার সকালে হাসপাতালে রাজশাহীর ২৯১ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪৪ জন, নাটোরের ৩৭ জন, নওগাঁর ৩৫ জন, পাবনার ২২ জন, কুষ্টিয়ার তিনজন, দিনাজপুরের একজন ও ঢাকার একজন করে রোগী ভর্তি ছিলেন। এদের মধ্যে নমুনা পরীক্ষায় ২০৬ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। আর ১৮৮ জন ছিলেন করোনার উপসর্গ নিয়ে। এছাড়া করোনা নেগেটিভ হলেও শারীরিক নানা জটিলতায় করোনা ইউনিটে ছিলেন ৪০ জন।
ইউকে/এসএম