বরিশাল সংবাদদাতা: টানা ৫ দিন পর গেল ২৪ ঘণ্টায় সব থেকে কম রোগী শনাক্ত হয়েছে বরিশাল বিভাগে। আর এই সময়ে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে নতুন করে ১৬০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর আগের দিন ২৪ ঘণ্টায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৪৮। আর সর্বশেষ আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮ হাজার ২৯৪ জন।
এছাড়া একই সময়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৭ জনের এবং বিভাগের মধ্যে বরিশাল ও ঝালকাঠি জেলায় দু’জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। যা নিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩১৪ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, মোট আক্রান্ত ১৮ হাজার ২৯৪ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ১৩৬ জন।
আক্রান্ত সংখ্যায় বরিশাল জেলায় নতুন শনাক্ত ৮৫ জন নিয়ে মোট ৮ হাজার ৭৪ জন, পটুয়াখালী জেলায় নতুন ১০ জন নিয়ে মোট ২৫১৩ জন, ভোলা জেলায় নতুন চারজন সহ মোট ২০৭২ জন, পিরোজপুর জেলায় নতুন ৩ জন নিয়ে মোট ২৩৩৪ জন, বরগুনা জেলায় নতুন ৫ জন নিয়ে মোট আক্রান্ত ১৪৭০ জন এবং ঝালকাঠি জেলায় নতুন ৫৩ জন শনাক্ত নিয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৩১ জন।
এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে শুধুমাত্র শেবাচিম হাসপাতালেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২০৮ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৫৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৫৪৬ জনের মধ্যে ৫০ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনো হাতে পাওয়া যায়নি।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিচালকের তথ্য সংরক্ষক জাকারিয়া খান স্বপন জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩৯ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ১ জন ভর্তি হয়েছেন। উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে ভর্তি সাতজন মৃত্যুবরণ করেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ১৮২ জন রোগী চিকিৎসাধীন। যাদের মধ্যে ৩৪ জনের করোনা পজিটিভ এবং ১৪৮ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৯০ জন করোনা পরীক্ষা করান। যারমধ্যে ৫৪.৭৩ শতাংশ পজিটিভ শনাক্তের হার।
ইউকে/এএস