বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউনের সপ্তম দিনে রাজধানীতে মানুষের চলাচল বেড়েছে। প্রধান সড়ক ও অলিগলি সবখানেই চলাচল বেশি।
বৃষ্টির কারণে সকালে যানবাহন সড়কে কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে যানবাহনের চলাচল। লকডাউন মানার ক্ষেত্রে একটু ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ্য করা গেছে।
বুধবার (০৭ জুলাই) সকাল থেকেই রাজধানীর মিরপুর ১৪, ১২, ১১, ১০, ২ নম্বর এলাকার পাড়া-মহল্লা ও বাসস্ট্যান্ড এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
এছাড়াও নগরীতে মূল সড়ক থেকে একটু ভেতরের দিকের পাড়া-মহল্লার রাস্তাগুলোতে দোকান খোলা রয়েছে। পাড়া-মহল্লার দোকানের এক পাশের সাটার বা ঢাকনা দিয়ে বেচাকেনা চলছে।
রাজধানী পল্লবীর কালশী রোডের দোকানদার মো. সোহেল বলেন, লকডাউনে সবকিছু বন্ধ থাকলেও আমাদের দোকান ভাড়া অন্যান্য খরচ তো আর বন্ধ নেই। আমাদের সংসার চালাতে হয়। পরিবার নিয়ে খেয়ে পরে বাঁচতে হবে। কেউ তো আর আমাদের সাহায্য করে না। এ কারণেই লুকিয়ে লুকিয়ে কেনাবেচা করি।
লকডাউনে রাজধানীর মিরপুরের বিআরটিএ বন্ধ থাকার পরও মো. করিম প্রাইভেটকারের ট্যাক্স টোকেন দেবেন বলে বিআরটিএ অফিসে এসেছেন। তিনি বলেন, ভেবেছিলাম সকালে অফিসে যাওয়ার পথে বিআরটিএতে ট্যাক্স টোকেন দিয়ে যাব। কিন্তু মিরপুর ১০ নম্বর চেকপোস্টে এসে গুনতে হলো জরিমানা। লকডাউনে বিআরটিএ যে বন্ধ আমার জানা ছিল না। ভুল করে এসে পড়েছি।
রিকশাচালক সালাম বলেন, সকাল থেকেই বৃষ্টির কারণে মানুষজন ঘর থেকে একটু কম বের হচ্ছে। সড়কের বিভিন্ন চেকপোস্টে মোটর চালিত রিকশা আটকানো হচ্ছে। পুলিশরা কঠোরভাবেই লকডাউনে নজরদারি করছেন।
মিরপুর ১০ নম্বর গোল চক্করে দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মুজিবর বলেন, আমরা সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। লকডাউনে ঘর থেকে বের হলেই করা হচ্ছে জরিমানা। প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হচ্ছে। এই জরিমানা তো সাধারণ জনগণ দিচ্ছেন। যারাই লকডাউনে কারণ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন, প্রশাসনের নজরে আসলেই করা হচ্ছে জরিমানা। সকাল থেকে তিনটি মামলা করা হয়েছে।
ইউকে/এএস