বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ধনী দেশগুলো দায়ী হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশকে বছরে ২ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বুধবার (০৮ জুলাই) ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে ‘ফার্স্ট ক্লাইমেট ভালনারেবল ফাইন্যান্স সামিট’-এ এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য কারা দায়ী এটা সবাই জানে। মূলত ধনী দেশগুলো দায়ী। তাদের জনসংখ্যা মাত্র ৫ শতাংশ। অথচ ৫ শতাংশ জনসংখ্যা নিয়ে এরা ২২ শতাংশ কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপাদন করছে। অন্যদিকে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হচ্ছি। জলবায়ু পরিবর্তনজনিক দুর্যোগ মানুষের সৃষ্টি। আমরা এর জন্য দায়ী না। মাতারবাড়িতে যে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হবে এটা তেমন কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি করবে না। এছাড়া রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি, এখানে ফসিল ফুয়েল ব্যবহার করা হবে না।
জলবায়ু পরিবর্তনের শঙ্কা প্রসঙ্গে মুস্তফা কামাল বলেন, ফসিল ফুয়েল ব্যবহার করার কারণে বিশ্ব উত্তপ্ত হচ্ছে। বিমান ভ্রমণেও সমস্যা হচ্ছে। অ্যান্টার্টিকা মহাদেশের বিশাল বরফখণ্ড গলতে শুরু করেছে। এর ফলে আমাদের দেশের নিচু অংশ ডুবে যাবে। উন্নত দেশগুলোর সহায়তা ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব না। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি—এই বিষয়ে জনমত সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা সবাই জানি ২০০৩ সালে ইউরোপে ৭০ হাজার মানুষ মারা গেছে শুধু জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যার কারণে।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, সোলার এনার্জি উৎপাদন করলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা সম্ভব। কিন্তু আমাদের জমির পরিমাণ কম। সোলার এনার্জি উৎপাদনে বেশি জমির প্রয়োজন হয়। খাদ্য চাহিদা মেটাতে কৃষি জমির সর্বোত্তম ব্যবহার করছি।
বন ও পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ সবচেয়ে দুর্যোগ প্রবণ দেশ। আমরা এই বিষয়ে একমত যে, জলবায়ুগত সমস্যার জন্য দায়ী উন্নত বিশ্ব। সবাই এক হয়ে উন্নতদেশগুলোকে বলবো সঠিক পদক্ষেপ নেয়ার জন্য। জলবায়ু সমস্যা সমাধানে উন্নত দেশগুলো এগিয়ে আসবে। আমরা আশা করি সকল সমস্যা তুলে ধরবো। সবার অংশগ্রহণে আমরা আমাদের সমস্যা সমাধান করবো।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ এ সময় বক্তব্য রাখেন। সামিট পরিচালনা করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।
ইউকে/এএস