ভালুকায় কলেজছাত্র সায়েম হত্যা: গ্রেপ্তার ৩

ময়মনসিংহ সংবাদদাতা: ময়মনসিংহের ভালুকায় গাঁজা সেবন বিষয়ে ফেসবুকে বন্ধুর দেওয়া স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হাতে কলেজছাত্র মো. সায়েম খান (১৯) নিহত হওয়ার ঘটনায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৬ জুলাই) তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন ভালুকা উপজেলার মেহরাবাড়ি গ্রামের মামলার আমান উল্লাহর ছেলে ওই মামলার প্রধান আসামি মো. সাব্বির হোসেন (২০), একই গ্রামের হাবিবুর রহমান হবির ছেলে সোহাগ মিয়া (১৯) ও মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সারোয়ার আলম (১৯)।

তিন আসামির মধ্যে মো. সাব্বির হোসেন আদালতে স্বীকারোমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এদিকে, অপর দুই আসামিকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের করা রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি হয়। পরে আসামি মো. সোহাগ মিয়াকে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর এবং সারোয়ার আলমের রিমান্ড আবেদন নামুঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নিহত সায়েম খান ভালুকার মনিং সান স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তিনি উপজেলার হবিরবাড়ি গ্রামের শিডস্টোর বাজার এলাকার মো. নাজিম উদ্দিন খানের ছেলে।

থানা সূত্রে জানা যায়, গাঁজা সেবন বিষয়ে ফেসবুকে মিরাজ নামের বন্ধুর দেওয়া স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে গত রবিবার (৪ জুলাই) রাতে উপজেলার ভালুকা ইউনিয়নের মেহেরাবাড়ি এলাকায় দুইপক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের হাতে আহত হয়ে পরদিন সোমবার (৫ জুলাই) সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ অবস্থায় মারা যান কলেজছাত্র মো. সায়েম খান। পরে নিহতের বাবা বাদী হয়ে গত সোমবার (৫ জুলাই) ওই ঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো তিন-চার জনকে আসামি করে ভালুকা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পরপরই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযান চালিয়ে সোমবার (৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার তারাকান্দা গ্রাম থেকে মামলার এজাহারনামীয় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেন। তারা ওই গ্রামে আসামি সোহাগের বোনের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। এসময় ওই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি গাছের ডাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহামুদুল ইসলাম বলেন, কলেজছাত্র মো. সায়েম খান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়েরের মাত্র সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যেই ওই তিন আসামিকে নেত্রকোনা থেকে গেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারেও অভিযান চলছে।

ইউকে/এএস