সাংবাদিক রোজিনার মুক্তি ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই: ফখরুল

ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা: সরকারি নথি চুরির অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মুক্তি এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যসচিবের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (১৭ মে) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কার্যালয়ে হেনস্তার শিকার হন রোজিনা।

ওই ঘটনায় সরকারি নথি চুরির অভিযোগে করা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে মঙ্গলবার।
এ ঘটনায় ধিক্কার ও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমানে সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে। কোনো নেতা বা আমলার বিরুদ্ধে নিউজ করা হলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে সেই সাংবাদিককে নির্যাতন করা হয়। এ পর্যন্ত কত সাংবাদিককে জেল খাঁটতে হচ্ছে এ আইনের জন্য! এভাবে চলতে থাকলে কেউ আর সত্য লিখতে চাইবে না। একটা গণতান্ত্রিক সমাজকে ধ্বংস করার এটা একটা নীল নকশা।

মঙ্গলবার (১৮ মে) সকালে ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ি এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।

মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার ও মন্ত্রণালয় করোনা সংক্রান্ত যে দুর্নীতি করেছে, সেগুলো তুলে ধরেছেন রোজিনা ইসলাম। তার মতো এত বড় একজন সাংবাদিকের সঙ্গে এমন আচরণ আমরা চিন্তাও করতে পারি না। এ সরকারকে আমি ধিক্কার জানাই। তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে রোজিনার বিরুদ্ধে করা সব মামলা প্রত্যাহার করে তার মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। আর আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যসচিবের পদত্যাগ দাবি করছি।

আমরা আগে থেকেই বলছি, এ দেশে মানুষের কোনো অধিকার নেই। না আছে কথা বলার অধিকার, না আছে সাংবাদিকদের অধিকার। এটাকে গণতন্ত্র বলে না। আজ সাংবাদিককে যেভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে, এটা কোনো স্বাধীন রাষ্ট্রে হতে পারে না। দেশ থেকে প্রায় ৫০ জন সাংবাদিক পালিয়েছেন। সাগর-রুনী হত্যা মামলার আজ পর্যন্ত কোনো সুরাহ করতে পারে নাই এ সরকার, যোগ করেন ফখরুল।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমরা হীরক রাজার দেশে বাস করছি। এখানে কিছু মানুষ জি হুজুর, জি হুজুর করে যাচ্ছে। আর যারা এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করছে, তারা নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে। তবে এ ফ্যাসিবাদি সরকারের পতন হবে একদিন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি আল মামুন আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, আনসারুল হক, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

ইউকে/এসএম