বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকার ঘোষিত ‘কঠোর লকডাউনের’ মধ্যে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। দুই কার্যদিবস পর সূচক বেড়েছে পুঁজিবাজারে।
এর আগে মঙ্গল ও বুধবার পুঁজিবাজারে সূচকের পতন হয়। তবে বৃহস্পতিবার সূচক বাড়লেও দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন কমেছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২১২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইর শরীয়াহ সূচক ১৪ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১৩৪১ ও ২২৪৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন ডিএসইতে ১ হাজার ৪৯১ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসইতে ৮৮ কোটি টাকার লেনদেন কমেছে। আগের দিন ডিএসইতে ১ হাজার ৫৭৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৩৭৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯১টি কোম্পানির, কমেছে ১৫৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর।
এদিন লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ প্রতিষ্ঠান হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, লাফার্জহোলসিম, কেয়া কসমেটিকস, বেক্সিমকো ফার্মা, আমান ফিড, ন্যাশনাল ফিড, আলিফ ইন্স্যুরেন্স, এমএল ডায়িং, পাওয়ার গ্রিড ও একটিভ ফাইন।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বৃহস্পতিবার ১২০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ১ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ৩২১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৫৯টির, কমেছে ১৩৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টি কোম্পানির শেয়ার দর।
বৃহস্পতিবার সিএসইতে ৭৪ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ৪ কোটি টাকা কম। আগের দিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৭৮ কোটি ৩০ লাখ টাকার।
ইউকে/এএস