লাইফস্টাইল বিভাগ: বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিটামিন ডি ’র অভাবেই করোনায় মৃত্যুহার অনেক বেশি। এছাড়া ভিটামিন ডি’র অভাবে আমরা অকালে ডায়াবেটিস টাইপ-১, হৃদরোগ, হার-মজ্জার ক্ষয়রোগ ও ক্যান্সারেও আক্রান্ত হতে পারি।
শরীরে ভিটামিন ডি’র অভাব দেখা দিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। শিশুর বিকাশ ও বৃদ্ধিতে কাজ করে, বয়স্কদের হাড় জনিত ক্ষয়রোগ থেকে রক্ষা করে। ক্যালশিয়ামের শোষণ ও ফসফরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ভিটামিন ডি।
এই করোনাকালে সবচেয়ে প্রয়োজন ভিটামিন ডি। সুস্থ থাকতে দৈনিক ১৫ মিনিট রোদে থাকা ভালো। দেহের যত বেশি অংশ খোলা রেখে রোদে থাকবে, তত বেশি ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যাবে। যেমন: শুধু হাত-মুখ খোলা রেখে রোদে থাকার চেয়ে পিঠসহ শরীরের অন্যান্য অংশ খোলা রাখলে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়। তবে সানস্ক্রিন ছাড়া দীর্ঘ সময় প্রচণ্ড রোদে থাকা উচিত নয়।
রোদ ছাড়া কিছু খাবার থেকেও আমরা প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি পেয়ে থাকি। যার মধ্যে রয়েছে- ভিটামিন ‘এ’, ‘ডি’, ‘ই’ এবং ‘কে’ সমৃদ্ধ ডিমের কুসুম, মাশরুম ভিটামিন-ডি’র একটি আদর্শ উৎস। বিভিন্ন তরকারির মধ্যে মাশরুম ব্যবহার করলে তা যেমন স্বাদে উন্নত হয়, একই সঙ্গে তরকারির পুষ্টিগুণও বাড়ে। পনির একটি মজাদার খাবার। একই সঙ্গে পনিরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-ডি। কাঁচা পনিরে ভিটামিন-ডি’র পরিমাণ তুলনামূলক বেশি থাকে। এছাড়া সব মাছেই ভিটামিন ডি থাকে। প্রতিদিনের খাবারে এসব আইটেমের যে কোনোটি রাখার চেষ্টা করুন।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাওয়া যাবে না।
ইউকে/এএস