খুলনা সংবাদদাতা: প্রাণঘাতী করোনায় মৃত্যুর হার খুলনায় উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলছিল। সেখান থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই কমে এসেছে। শুক্রবার (০৯ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে শনিবার (১০ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় খুলনার করোনা ডেডিকেটেড চার হাসপাতালের তিনটিতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় সাতজন এবং উপসর্গ নিয়ে তিনজন মারা গেছেন।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে ছয়জন, গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনজন ও জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় তিনজন এবং উপসর্গ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় মৃতরা হলেন- খুলনার ফুলতলার শামসুর রহমান (৫০), বাগেরহাটের মিঠাপুকুর পাড় এলাকার রওশন আরা (৬৫) ও নড়াইলের লোহাগড়ার মো. মুজিবর রহমান (৬৫)। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে তিনজন মারা গেছেন।
হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৮৮ জন। যার মধ্যে রেডজোনে ১১৫ জন, ইয়ালোজোনে ৩৩ জন, আইসিইউতে ২০ জন এবং এইচডিইউতে ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩১ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৫ জন।
বেসরকারি গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- খুলনার পাইকগাছার গোপালপুরের আহম্মদ আলী গোলদার (৭৫), দাকোপের পানখালীর মোহাম্মদ আলী (৯০) ও চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার পুরাপাড়ার অনন্ত কুমার বিশ্বাস (৪০)।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো ১৩০ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন সাতজন ও এইচডিইউতে আছেন ১১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২১ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭ জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে খুলনার রূপসা উপজেলার নৈহাটি এলাকার মো. হাসানুজ্জামান (৭০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ ছাড়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭৬ জন। তার মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ ও ৩৯ জন নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৫ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আটজন।
খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের ভর্তি রয়েছেন ৪৪ জন রোগী। যার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ১০ জন। ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন পাঁচজন ও বাড়ি ফিরেছেন চারজন
ইউকে/এএস