লাইফস্টাইল বিভাগ: ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের কারণে চাইলেও ইচ্ছামত খাওয়া দাওয়া করা যায় না। সারাদিনই হিসবা করে খাওয়া দাওয়া করতে হয়। তবে নিয়ম মেনে খাওয়া দাওয়া করলে এত বেশি বেগ পেতে হয় না। এমনই কিছু নিয়মের কথা বলেছেন এক পুষ্টি বিশেষজ্ঞ।
১. দানাশস্য:
যে কোনও রকমের দানাশস্য, যেমন- ডাল, রাজমা, ছোলা ডায়েটে রাখুন। এগুলো সবক’টাই লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ফুড। প্রতিদিন এক কাপ দানাশস্য খেলে ব্লাড সুগার অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
২. আপেল:
আপেলও একটি লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ফুড। একই সঙ্গে তা ফাইবারে পরিপূর্ণ। প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে ব্লাড সুগারের পরিমাণ অনেক কমে যায়।
৩. আমন্ড:
আমন্ডে আছে ম্যাগনেশিয়াম, মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন আর ফাইবার। ফলে রোজ একটু করে আমন্ড খেতে পারলে তা শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৪. পালং শাক:
এই শাকও ম্যাগনেসিয়াম আর ফাইবারে পরিপূর্ণ, সুতরাং তা নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগতে হবে না।
৫. চিয়া সিড:
এতে আছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবার। ফলে তা ব্লাড সুগার যেমন নিয়ন্ত্রণে রাখে, তেমনই শরীর থেকে বাড়তি মেদও দ্রুত ঝরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে।
৬. জাম:
এই ফল ফাইবার, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টসে সমৃদ্ধ। সুতরাং তা নিয়ম করে রোজ খেলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৭. ওটমিল:
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে ব্রেকফাস্টে ওটমিল রাখতে পারলে ভালো হয়। আপেলের মতোই এটিও লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ফুড, ফলে ডায়াবেটিসে তা শরীরকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৮. হলুদ:
রান্নায় হলুদের ব্যবহার জরুরি, বিশেষ করে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে। হলুদে আছে কারকুমিন যা ব্লাড সুগারের সঙ্গে লড়াই করে শরীরকে সুস্থ রাখে।
৯. ক্যামোমাইল টি:
শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক রাখতে রোজ যদি এক কাপ করে এই চা পান করা যায়, তাহলে সুফল মেলে। পাশাপাশি এর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস এবং অ্যান্টি-ক্যানসার উপাদান সামগ্রিক ভাবে আমাদের সুস্থ রাখে।
ইউকে/এএস