ক্রীড়া বিভাগ: বয়স হয়ে গেছে। এটাই শেষ কোপা আমেরিকায় খেলা। ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে শক্তিশালী ব্রাজিল। তার ওপর খেলাটাও ব্রাজিলের মারাকানা স্টেডিয়ামে। ২০০৫ সালে আর্জেন্টিনার জার্সিতে অভিষেকের পর থেকে আজকের আগে চারটি বিশ্বকাপ গেছে, পাঁচটি কোপা আমেরিকা গেছে। প্রতিবারই লিওনেল মেসির শিরোপা স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। ফিরতে হয়েছে ভাঙা হৃদয় নিয়ে। এবার আর তা হলো না। ডি মারিয়ার একামাত্র গোলেই মেসির হাতে প্রথমবারের মতো উঠল আন্তর্জাতিক শিরোপা।
শিরোপা জয়ের পর সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মেসি। তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় ঈশ্বর এমন একটা মুহূর্ত আমার জন্যই রেখে দিয়েছিলেন। ব্রাজিলের বিপক্ষে ফাইনাল জেতা, সেটাও তাদেরই দেশে! এই দলের ওপর আমার ভরসার কখনো কমতি ছিল না। সর্বশেষ কোপা আমেরিকার (২০১৯) পর থেকে দলটা আরও শক্তিশালী হয়েছে। দারুণ কিছু মানুষকে নিয়ে গড়া আমাদের দলটা, যারা সব সময়ই সব বাধা ঠেলে সামনে এগোতে চায়, কখনো কিছু নিয়ে অভিযোগ করে না।’
এই কোপার জন্য সবাইকে থাকতে হয়েছে জৈব সুরক্ষা বলয়ে। যে কারণে আর্জেন্টিনার গোলকিপার মার্তিনেজ তো নিজের সদ্যোজাত সন্তানের মুখও এখন পর্যন্ত দেখতে পারেননি। সেইসব কঠিন সময় নিয়ে মেসি বলেন, ‘কত দিন ধরে আমরা এই বলয়ের ভেতরে আছি। কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য সব সময় পরিষ্কার ছিল, শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি। এই খুশিটার কোনো তুলনা হয় না। কতশতবার যে এমন কিছুর স্বপ্ন দেখেছি!’
আর্জেন্টিনা যেখানে একটা শিরোপার জন্য ২৮ বছর ধরে অপেক্ষা করছিল, লিওনেল মেসিও অপেক্ষা করছিলেন ১৬ বছর ধরে। ক্লাব ফুটবলে সব ধরনের শিরোপা একাধিকবার জিতে নেওয়া মেসির জন্য এটাই ছিল অতৃপ্তি। প্রথম শিরোপা জিতে তার আনন্দটা তাই বেশি, ‘এখনো মনে হচ্ছে না যে, আমরা আসলেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছি! তবে আমার মনে হয় এই ম্যাচটা ইতিহাসে সাক্ষী হয়ে থাকবে, শুধু আমরা দক্ষিণ আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন হয়েছি বলেই নয়, ব্রাজিলকে তাদেরই দেশে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি বলেও।’
ইউকে/এএস