লাইফস্টাইল বিভাগ: আমাদের এই মহামারি ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হলেও প্রয়োজন শক্তরোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আর ডিমের পুষ্টি সেই প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেই সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাকালে নিশ্চিন্তে ডিম খান। এটি সুপারফুড আমাদের শরীরের প্রতিদিনের পুষ্টির চাহিদার বড় একটা অংশ পূরণ হয় শুধুমাত্র একটি ডিম খেলেই।
ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালের তথ্য মতে, দৈনিক একটি ডিম হার্টের ক্ষতি নয় উপকার করে। সকালের নাস্তায় মিষ্টি ও চর্বি জাতীয় খাবারের চেয়ে ডিম উপকারি। এতে প্রোটিন, ভিটামিন বি-১২, ভিটামিন বি-২ যেমন রযেছে, তেমনি ফলেট ও ভিটামিন-ডি কোলেস্টেরল বৃদ্ধির প্রভাব কমায়। সংরক্ষিত বা প্রক্রিয়াজাত মাংসের চেয়ে ডিম খাওয়া ভালো।
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, সপ্তাহে ৫-৬টি ডিম খেলেও উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক, কোলেস্টেরলের কোনো ঝুঁকি থাকে না।
ডিম খাওয়ার অভ্যাস টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, ফসফরাস, আয়রন, জিংক, ম্যাঙ্গানিজসহ সব উন্নত পুষ্টি উপাদান থাকায় ডিমের গুরুত্ব অনেক। সুপারফুড শিশুর মাংসপেশি, মস্তিষ্কের টিস্যু গঠন ও মেধা বিকাশে সহায়তা করে। পূর্ণ বয়স্কদেরও শরীরে পুষ্টি ও শক্তি জোগায়।
যারা ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে সাদা অংশ খেয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতার কথা ভাবছেন, তারা জেনে নিন-কুসুমে যে অপরিশোধিত চর্বি রয়েছে তা শরীরে হরমোন সৃষ্টি এবং শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলসকে দ্রবীভূত করে মিশিয়ে দিতে সাহায্য করে। বিশ্বখ্যাত পুষ্টিবিদ লিজ উলফ বলেছেন- কুসুমটিও খেয়ে ফেলুন, এতে শরীরের কোনো ক্ষতি নেই। না খেলেই বরং কিছু কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
দিনে একটির বেশি ডিম খেতে চাইলে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে নিন।
ইউকে/এএস