ত্বকের রোদে পোড়া দাগ দূর করতে বাড়িতে যা করবেন

লাইফস্টাইল বিভাগ: গরমের কড়া রোদ শুধু আমাদের শরীরকে ডিহাইড্রেট করে না সেই সাথে ত্বককেও রুক্ষ ও শুষ্ক করে তোলে। সূর্যের ইউভি রশ্মির কারণে স্কিনে ট্যান পড়ে সেই সাথে পোরস তৈরি হয়। ট্যানিং এর ফলে সময়ের আগেই ত্বক থেকে তারুণ্য হারায়। মুখের সাথে হাত ও পায়ের অনেক ক্ষতি হয় এই ট্যানের কারণে। তবে বাড়িতে কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে সান ট্যান দূর করা সম্ভব।

দই:দইয়ে প্রোবায়োটিকস আছে যা স্কিনের ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে। অন্যদিকে হলুদ স্কিন টোন উজ্জ্বল করে। একটি বাটিতে দই নিয়ে এর মধ্যে এক টেবিল কাঁচা চামচ হলুদের গুড়া নিন। এরপর একসাথে মিশিয়ে যেখানে ট্যান হয়েছে সেখানে লাগান। ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

লেবুর রস:

লেবুতে থাকা ভিটামিন সি স্কিন সেলকে আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে রক্ষা করে। এক বাটি হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে ১৫ মিনিট হাত ডুবিয়ে রাখুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। হাত শুকিয়ে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে কারণ লেবুর রসে অ্যাসিড থাকার কারণ আপনার স্কিন ড্রাই হয়ে যেতে পারে।

আমন্ড:

আমন্ডে যে ভিটামিন থাকে তা স্কিনের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ৫ থেকে ৬টা আমন্ড সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সকালে ‍দুধ দিয়ে আমণ্ড ব্লেন্ড করে নিন। সারারাত পেস্ট লাগিয়ে সকালে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

চন্দন:

২ চা চামচ চন্দন গুঁড়া আর হলুদ গুঁড়া ভালোভাবে মিশিয়ে দুই থেকে তিন ফোটা গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। এরপর মুখ বা হাত যে জায়গায় ট্যান হয়েছে সেখানে পেস্ট লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই পেস্ট স্কিনের টেক্সার ও টোন যা রোদে পোড়ার কারণে নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো তা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।

অ্যালোভেরা জেল:

অ্যালোভেরা জেলে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা স্কিনকে ড্যামেজের হাতে থেকে রক্ষা করে। বাজারের জেলের পরিবর্তে অ্যালোভেরার পাতা থেকে ফ্রেশ জেল নিয়ে ট্যান পড়ে এমন জায়গায় লাগান। সারারাত রেখে সকালে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

শসা:

শসায় যে ভিটামিন রয়েছে তা ত্বককে সতেজ রাখে সেই সাথে স্কিনের গ্লো ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। শসার রসের সাথে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে ট্যান পড়া অংশে লগান। এর ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

ইউকে/এএস