বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে চলমান বিধিনিষেধ শিথিল হলে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজ বুধবার দুপুরে নিয়মিত করোনা বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত ৮ দিন বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। কিন্তু আমরা যারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আছি, বিধিনিষেধ শিথিল হলে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করি। কিন্তু সরকার যে নির্দেশনাই দেয়, আমাদের সেটা মানতে হবে। এজন্য ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধির প্রতিই আপাতত নজর দিচ্ছি।
রোবেদ আমিন বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে শপিং মল, পশুর হাট যদি খোলা রাখা হয়, সেক্ষেত্রে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সেগুলোতে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি এবং শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই। আমরা জানতে পেরেছি বিধিনিষেধ শিথিলের মধ্যে পরিবহনও খুলে দেওয়া হবে, কিন্তু সেখানে যদি যাত্রী অর্ধেক না করা হয়, তাহলেও সংক্রমণ কমবে না, বরং লাফিয়ে বাড়বে।
তিনি আরো বলেন, কোরবানির হাট ১৭ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত চলবে। কিন্তু পশুর হাটে যদি মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব না থাকে এবং মাস্ক ব্যবহার না হয়, তাহলে সংক্রমণ যে কারো থেকেই ছড়িয়ে যেতে পারে।
অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন আরও বলেন, বিধিনিষেধ শিথিল করা হোক বা না হোক, যদি স্বাস্থ্যবিধি ঠিকমতো মেনে চলা হয়, তাহলে আশা করছি সংক্রমণ এতোটা ছড়াতে পারবে না। কিন্তু আমরা দেখেছি স্বাস্থ্যবিধি সেভাবে মানা হচ্ছে না। এভাবে যদি চলতে থাকে, আমরা ভাবছি ঈদ পরবর্তী সময়ে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তবে সরকার জানিয়েছে, সংক্রমণ প্রতিরোধে ঈদের পরপরই সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আবারও ২ সপ্তাহের বিধিনিষেধ জারি করা হবে।
দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের মাত্রা ৩০ শতাংশ রয়েছে জানিয়ে তিনি দেশবাসীকে সতর্ক করে বলেন, কোরবানির পশুর হাটে মাস্কের ব্যবহার ১০০ ভাগ করা না গেলে সংক্রমণের মাত্রা আপ্রাণ চেষ্টা করেও কমানো যাবে না। তাই জনে জনে যেন স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয় সেজন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও অনুরোধ জানাই।
ইউকে/এএস