বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: সারা দেশে বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ সব ধরনের গণপরিবহন চলতে শুরু করেছে। করোনা সংক্রমণের বিস্তারের কারণে ১৭ দিন বন্ধ থাকার পর অর্ধেক যাত্রী আর বর্ধিত ভাড়া নিয়ে গতকাল বুধবার (১৪ জুলাই) মধ্যরাত থেকে চলতে শুরু করে গণপরিবহন।
আগামীকাল শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত সব ধরনের গণপরিবহন চালু থাকবে। এসব গণপরিবহনে অর্ধেক আসনে যাত্রী পরিবহন করাসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে বলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বুধবার (১৪ জুলাই) সকাল থেকেই ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করে রেলওয়ে। এই এক সপ্তাহ সারা দেশে ৩৮ জোড়া আন্ত নগর ও ১৯ জোড়া লোকাল ট্রেন চলাচল করবে। অর্ধেক আসনের শতভাগ টিকিটই অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে। ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা পরিদর্শনের জন্য আজ সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাওয়ার কথা রয়েছে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের।
আজ থেকে বেসরকারিভাবে বিভিন্ন রুটে ৭০টি লঞ্চ ও স্টিমার ঢাকা থেকে ছেড়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া বিআইডাব্লিউটিসির আওতায় চারটি স্টিমার ও ৫৩টি ফেরি চলাচল করবে। গতকাল নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘সব নৌযানে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। মাস্ক ছাড়া নৌবন্দর এলাকায় ও লঞ্চে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। বিভিন্ন ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।’
আজ শিমুলিয়া ঘাটে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর নতুন দুটি ফেরি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
গতকাল থেকেই ঈদে ঘরমুখী মানুষ বাসের অগ্রিম টিকিট নেওয়া শুরু করে। গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, দূরপাল্লার পরিবহনের কাউন্টারগুলো খোলা হয়েছে। ফরিদপুরগামী গোল্ডেন পরিবহন কাউন্টারে মজিবর রহমান নামের একজনকে দেখা যায় অগ্রিম টিকিট দিচ্ছেন।
মজিবর রহমান বলেন, ‘পরিচিত অনেকে ফোনে টিকিট বুক করছেন, আবার অনেকে এসে টিকিট নিচ্ছেন। সরকারি নির্দেশনা অনুসারে ৬০ শতাংশ ভাড়া অতিরিক্ত নিয়ে দুই আসনে এক যাত্রী হিসেবেই টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।’
হানিফ পরিবহন কাউন্টারেও দেখা যায়, অনেকে এসে অগ্রিম টিকিট নিচ্ছেন। গাইবান্ধাগামী যাত্রী আব্দুস সবুর বলেন, ‘১৮ তারিখ সকালে বাড়িতে যাব, সে হিসাবে টিকিট নিয়েছি। দুই আসনে এক যাত্রী হিসেবে ভাড়া নিয়েছে।’
গত ২৮ জুন থেকে সীমিত এবং ১ জুলাই থেকে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধি-নিষেধ শুরুর দিন থেকেই বন্ধ ছিল গণপরিবহন চলাচল।
ইউকে/এএস