পত্নীতলা সংবাদদাতা: নওগাঁর পত্নীতলায় আলুর ভালো ফলনের পাশাপাশি দাম বেশি পেয়ে খুশি কৃষক। কৃষকরা আমন ধান কাটার পর একই জমিতে আলু চাষ করে অতিরিক্ত অর্থ আয় করছেন। আমনের ফলন কম হওয়ায় কৃষকের লোকসান গুণতে হয়েছিল। এই ঘাটতি অর্থ পুষিয়ে নেয়ার পাশাপাশি একই জমিতে তিন ফসল উৎপাদন করছেন কৃষকরা।
কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৭শ’ ৩০ হেক্টর। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী জমিতে চাষ হয়েছে। এ বছর আলুর ফলনও ভাল হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এ উপজেলার প্রধান অর্থকরী ফসল ধান। পাশাপাশি সবজির আবাদও হয়। গত বোরো ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া এবং আমন মৌসুমে ধানের ফলন কম হওয়ায় অনেক কৃষক ধান চাষ ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্তও নেন। কিন্তু কৃষি অধিদফতরের অনুপ্রেরণা ও পরামর্শে অনেক কৃষক ধানের জমিতে এবার আলু চাষ করেন।
বর্তমানে ক্ষেত থেকে উঠতে শুরু করছে আলু। বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা ক্ষেত থেকে গাছসহ আলু কিনে শ্রমিক দিয়ে উত্তোলন করছেন। তবে এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। কয়েক দফা বৃষ্টিতেও আলুর ক্ষতি হয়নি। বৃষ্টি হওয়ায় সুবিধা হয়েছে আলুর জন্য। এতে কৃষকদের বাড়তি সেচের প্রয়োজন হয়নি।
ষাটাল, চরকি, পাকরি, রোমানা, কার্ডিনাল (লাল), গ্যানোলা, ব্যানোলা, ক্যারেজ এবং ডায়মন্ড জাতের আলুর চাষ হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় জাতের আলুর চাষ হয়েছে। পরিপক্ক হওয়ায় মাঠ থেকে আলু উঠাতে শুরু করেছেন কৃষকরা।
উপজেলার মাটিন্দর ইউনিয়নের ওয়ারি গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক জানান এবার ৫ বিঘা জমিতে দেশী জাতের আলুর আবাদ করেছেন বিঘা প্রতি ৫৫ থেকে ৬০ মন ফলন হয়েছে। বাজারে প্রতি মন আলু ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৮ হাজার টাকা। কিন্তু আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮ হাজার ১০ / ১১ হাজার টাকা লাভ থাকবে। একই ইউনিয়নের কৃষক শাহ্ আলম জানান ১ একর জমিতে ষাটাল দেশিয় জাতের আলু চাষ করেছেন ফলন ভাল হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রকাশ চন্দ্র সরকার জানান আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে বাজারে দাম ভালো আছে কৃষকরা এবার লাভবান হবেন। কৃষি বিভাগ সবসময় কৃষকের পাশে আছে।