‘লকডাউন’ শিথিল করায় পুনরায় চালু পাঠাওয়ের সব সার্ভিস

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত ‘লকডাউন’ শিথিল করায় পুনরায় সব সেবা চালু করেছে দেশের সর্ববৃহৎ ডিজিটাল সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম ‘পাঠাও’। এক্ষেত্রে প্ল্যাটফর্মটির ব্যবহারকারীদের নির্ভরযোগ্য সেবা দেওয়া ও সেবাদাতাদের দৈনিক আয় এবং উভয়ের নিরাপত্তার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

করোনা মহামারিকালে পাঠাও তার সেবাগ্রহীতা ও সেবাদাতা উভয়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় করোনাকালে পাঠাও তার সব সেবাদাতাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার ব্যাপারে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়েছে ও প্রদান করেছে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম (মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, গ্লাভস ইত্যাদি)।

এছাড়া পাঠাও চালকরা যাতে মাস্কের প্রয়োজনীয়তা মেনে চলে তাই নতুন ফিচারও চালু করেছে পাঠাও। অধিকন্তু পাঠাও তার রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে সেবাদাতাদের জন্য বাড়তি আয়ের সুযোগ তৈরি করেছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চালকদের পাঠাও ফুড ও পাঠাও পার্সেল কাজের সুযোগ তৈরি করে দেয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য সতর্কতা হিসেবে এটুআই এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় পাঠাও তার প্ল্যাটফর্মের ১০ হাজারের বেশি সম্মুখসারির করোনাযোদ্ধকে করোনা টিকার জন্য নিবন্ধন করিয়েছে।

সবার দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবাকে পৌঁছে দিতে মহামারির পুরো সময়টাতে পাঠাও দেশের মানুষের পাশে থেকেছে। এছাড়া প্ল্যাটফর্মটি সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনতে বিভিন্ন দাতব্য সংস্থার সহযোগিতায় পাঠাও হেলথ ও পাঠাও ফার্মা চালু করেছে। ট্রান্সজেন্ডারদের পাঠাও ফুডে সেবাদাতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া করোনাকালে পাঠাওয়ের আরও একটি উল্লেখযোগ্য মানবিক উদ্যোগ।

সম্প্রতি পাঠাও আকিজ বেকার্স লিমিটেডের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে করোনায় আক্রান্তদের জন্য ঢাকায় বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্সসেবা চালু করেছে। পাঠাও অ্যাপের হেলথ ফিচার থেকে করোনা আক্রান্তরা সহজেই এ সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

রাইড শেয়ারিং সার্ভিস পুনরায় চালু হওয়া প্রসঙ্গে পাঠাও প্রেসিডেন্ট ফাহিম আহমেদ বলেন, যাত্রী-সেবাদাতাদের নিরাপত্তা-স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের ব্যাপারে পাঠাও দায়বদ্ধ। দেশের অর্থনীতিতে গতি আনতে ও মহামারির বিরুদ্ধে এ লড়াইয়ে আমরা সরকার ও জনগণের পাশে রয়েছি।

ইউকে/এএস