নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীর নিউমার্কেট এলাকায় একটি গরুর মাংসের দোকানের মূল্য তালিকায় প্রতি কেজি ৫৬০ টাকা লেখা থাকলেও বিক্রি হচ্ছিল ৫৮০ টাকা দরে। বিষয়টি জানার পর ক্রেতা সেজে ওই দোকানে যান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. হাসান-আল-মারুফ। এসময় তার কাছেও একই মূল্য চাওয়া হয়।
তাই অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের বিষয়টি প্রমাণিত হলে ওই দোকানকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকালে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। অভিযানে ৬টি প্রতিষ্ঠানকে মোড়কজাত পণ্যে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য, উৎপাদনের তারিখ, ওজন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, পণ্যের অতিরিক্ত মূল্য রাখাসহ বিভিন্ন অপরাধে ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন সহকারী পরিচালক মো. হাসান-আল-মারুফ।
হাসান-আল-মারুফ বলেন- অভিযানে মহানগরীর রাজপাড়া থানার ঝাউতলা মোড় এলাকায় প্রাত্তাহিক নামের দোকানে পণ্যের মোড়কে উৎপাদনের তারিখ, ওজন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ইত্যাদি না থাকার অপরাধে তিন হাজার টাকা।
লক্ষ্মীপুর বাজারে রাজিব মাংসের দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে এক হাজার টাকা। সৈকত মাংসের দোকানকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে দুই হাজার টাকা। সাহেব বাজারের এএম কনফকশনারিকে মোড়কজাত পণ্যে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য না থাকায় ৫ হাজার টাকা। রয়েল স্টোরকে মোড়কজাত পণ্যে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য না থাকায় ১৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভোক্তাদের স্বার্থ ও সুরক্ষায় নৈতিকতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনাকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু অসাধু যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর জিরো টলারেন্স প্রদর্শন করবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান আগামীতে অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে, অভিযান চলাকালে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মাঝে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ সম্বলিত লিফলেট বিতরণ এবং আইনটি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করা হয়।
ইউকে/এএস