রাবির নবনিযুক্ত উপ-উপাচার্য সুলতান-উল-ইসলামের দায়িত্ব গ্রহণ

রাবি সংবাদদাতা: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নবনিযুক্ত উপ-উপাচার্য হিসাবে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪তম উপ-উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

আজ শনিবার (১৭ জুলাই) বেলা ১১টায় শহীদ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের উপ-উপাচার্য দপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজ দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

গত ১৩ জুলাই   বিশ্ববিদ্যালয়ের  আচার্য ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের অনুমোদনক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নূর-ই আলম স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাঁকে চার বছরের জন্য এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এ সময় সদ্য বিদায়ী উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান আল-আরিফ, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালামসহ অনুষদ অধিকর্তা, হল প্রাধ্যক্ষ, বিভাগীয় সভাপতি, অফিস প্রধান, বিশিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম তাঁর এ নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। সেইসাথে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কার্যক্রম নিরবিচ্ছিন্ন রাখাসহ দায়িত্ব পালনে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতাও কামনা করেন।

নবনিযুক্ত উপ-উপাচার্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে জাতির জনকের প্রতিকৃতি ও শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মোনাজাত করেন। এছাড়া ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ড. জোহার সমাধি ও শহীদ চার জাতীয় নেতার অন্যতম এ এইচ এম কামারুজ্জামানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত করেন।

অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগ থেকে ১৯৮১ সালে স্নাতক ও ১৯৮২ সালে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। পরবর্তীতে তিনি ইংল্যান্ডের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রী অর্জন করেন। সেই সাথে ২০০২ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৯৭ সালে নিজ বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০০৭ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। এছাড়াও ২০১৯ সাল থেকে তিনি নিজ বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

ইউকে/এএস