প্রথমবার জন্মদিনে দৃষ্টির অগোচরে মিষ্টি মেয়ে

বিনোদন বিভাগ: ঢাকাই সিনেমার ‘মিষ্টি মেয়ে’খ্যাত সারাহ বেগম কবরীর জন্মদিন সোমবার (১৯ জুলাই)। ১৯৫০ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালীতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

কিংবদন্তী এই অভিনেত্রী সবাইকে কাঁদিয়ে গত ১৭ এপ্রিল না ফেরার দেশে চলে গেছেন। বেঁচে থাকলে জীবনের ৭১তম বসন্তে পা রাখতেন সত্তর ও আশির দশকে সাড়া জাগানো এই নায়িকা। এই প্রথম জন্মদিনে নেই তিনি, আছেন দৃষ্টির অগোচরে নতুন ভুবনের বাসিন্দা হয়ে।

করোনা ভাইরাস কেড়ে নিয়েছে অনেক প্রিয় মুখকে, সে যাত্রায় সামিল হয়েছেন কবরীও। গত ৫ এপ্রিল এই অভিনেত্রী জানতে পারেন তার করোনা ভাইরাস পজিটিভ। হাসপাতালে ১৩ দিন করোনার সঙ্গে লড়াই করেও শেষ রক্ষা হয়নি, সবাইকে অশ্রু জলে ভাসিয়ে পাড়ি জমান পরপারে।

কবরী হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, পারিবারিক নাম ছিল মিনা পাল। তার বাবার শ্রীকৃষ্ণদাস পাল এবং মা লাবণ্য প্রভা পাল। পরবর্তীতে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেন এই কিংবদন্তি।

কবরীর চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘সুতরাং’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ১৯৬৪ সালে। জীবন দশায় মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সিনেমার কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে- ‘জলছবি’, ‘বাহানা’, ‘সারেং বৌ’, ‘সাত ভাই চম্পা’, ‘সুজন সখী’, ‘রংবাজ’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘দেবদাস’, ‘আবির্ভাব’, ‘বাঁশরি’, ‘যে আগুনে পুড়ি’, ‘দীপ নেভে নাই’, ‘দর্পচূর্ণ, ‘হীরামন’, ‘ক খ গ ঘ ঙ’, ‘বিনিময়’ ইত্যাদি।

অভিনয়ের বাইরে নির্মাতা হিসাবেও কাজ করেছেন কবরী। তার নির্মিত প্রথম সিনেমা ‘আয়না’ মুক্তি পায় ২০০৫ সালে। অসমাপ্ত রয়েছে গেছে তার নির্মাণাধীন ‘এই তুমি সেই তুমি’সিনেমাটি। এছাড়াও ২০১৭ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রকাশিত হয় তার আত্মজীবনীমূলক বই ‘স্মৃতিটুকু থাক’। এর বাইরে রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন কবরী। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

ইউকে/এএস