বরিশাল সংবাদদাতা: আগামীকাল বুধবার পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ ঘনিয়ে আসায় বেড়েছে হোগল পাতা দিয়ে বোনা হোগলা আর গাছের গুঁড়ির খাটিয়ার কদর।
সোমবার (১৯ জুলাই) সকাল থেকে বরিশাল নগরের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড় ও বাজারের সামনে হোগলা আর খাটিয়া নিয়ে ব্যবসায়ীদের বসে থাকতে দেখা যায়। এমন চিত্র দু’দিন আগেও ছিলো না। শুধু যে ব্যবসায়ীরা বসে থাকছেন এমন নয়, তাদের কাছ থেকে ক্রেতারা দাম-দর করে এসব কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
বরিশাল নগরীর বাংলাবাজার কাঁচাবাজারের সামনে বাঁশের ও হোগল পাতার সমন্বয়ে তৈরি চাটাই নিয়ে বসে থাকা ব্যবসায়ী গোলাপ সাহা জানান, বরিশাল সদরের টিয়াখালি গ্রাম থেকে এসব হোগলা এনেছেন তিনি। কোরবানির কথা চিন্তা করে সেখানকার বাসিন্দারা প্রতিবছরই এগুলো তৈরি করেন। চার হাত প্রস্থ ও পাঁচ হাত লম্বা একেকটি হোগলার দাম আড়াইশ থেকে তিনশ টাকা। তবে ঈদের সময় যতো ঘনিয়ে আসছে ততো চাহিদা বাড়ছে, আর চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন না থাকলে দাম বেড়েও যেতে পারে।
নগরের জেলা পুলিশ লাইন্স মোড়ে ভ্যানে করে গাছের গুঁড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যবসায়ী সেলিম বলেন, আমি মূলত ভ্যানে করে মৌসুমি ফলমূল বিক্রি করি। তবে কোরবানির পশুর মাংস কাটতে গাছের গুঁড়ি বেশ জনপ্রিয়। তাই এই কদিন নগরের চাঁদমারি এলাকার কাঠের স-মিল থেকে এই গুঁড়ি এনে বিক্রি করবো।
বেচা-বিক্রি বেশ ভালো জানিয়ে তিনি বলেন, সোমবার ভোরে ত্রিশটা কাঠের গুঁড়ি এনে দুপুর ১২টার দিকেই ২৩টি বিক্রি করে ফেলেছেন।
এদিকে নগরের নতুনবাজার, নাজিরেরপুল ও বাঘিয়াহাট সংলগ্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে বিভিন্ন গাছের খাটিয়া রয়েছে। তবে মূলত তেঁতুল গাছের গুঁড়ি কোরবানির পশু কাটতে সবচেয়ে বেশি উপযোগী। কারণ এই গাছের গুঁড়ি থেকে গুঁড়া (পাউডার) ওঠে না, মাংস লেগে থাকে না এবং এগুলো বেশ শক্ত ও দামে সস্তা হয়। একেকটি কাঠের গুঁড়ি দেড়শ থেকে ৩শ টাকায় বিক্রি করছেন।
তাদের মতো আরো অনেকেই নগরজুড়ে চাটাই ও গাছের গুঁড়ি বিক্রি শুরু করেছে। নগরের রূপাতলী ও সাগরদি কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা গেছে পাটের রশি, ছুরি-চাপাতি, ভূষি, খড়, ঘাস ও কাঁঠালের কাঁচা পাতা বিক্রি শুরু হয়েছে। আর এসব বস্তু সংগ্রহ করতে কোরবানির ঠিক আগ মুহূর্তে ক্রেতার সংখ্যাও থাকে চোখে পরার মতো।
ইউকে/এএস