শেষ সময়ের বেচাকেনা চলছে রাজধানীর পশুর হাটে

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: ঈদের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ততই জমজমাট হচ্ছে রাজধানীর পশুর হাটগুলোর বেচাকেনা। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। তার পর ঈদ। ঈদের নামাজ শেষে শুরু হবে পশু কোরবানি। সামর্থ্যবান মানুষ তাই ভিড় করছেন হাটে।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ মানুষই শেষ সময়ে আসছে পশু কিনতে। কেউ দরদাম করছে, কেউ বা আবার পশু কিনে নিয়ে চলে যাচ্ছে। হাটে ৫০-৬০ হাজার থেকে শুরু করে আড়াই লাখ- তিন লাখ টাকায় মিলছে ছোট থেকে মাঝারি বা তার চেয়ে একটু বড় আকারের গরু। অনেকে হাটে দুই-তিন দিন ধরে ঘুরে তারপর কিনছেন তাদের কাঙ্খিত পশুটি।

ডিএনসিসি এলাকার ভাটারা-সাঈদনগর পশুর হাটে গিয়ে কথা হয় কুষ্টিয়ার এক গরু বিক্রেতার সঙ্গে। তিনি জানালেন তাঁরা পাঁচজন মিলে ২০টি গরু এনেছিলেন হাটে। ১৫টি বিক্রি হয়ে গেছে। আর পাঁচটি গরু বিক্রি করতে বাকি।

যদিও এই হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি উপেক্ষিত দেখা গেছে। হাটে জীবাণুনাশক টানেল রয়েছে। কিন্তু কেউ তা ব্যবহার করছিলেন না। মাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও মাস্ক পরার ঘোষণা দেওয়া হচ্ছিল। টাঙানো ছিল ডিএনসিসির ব্যানার, কিন্তু বেশির ভাগ বিক্রেতার মুখেই মাস্ক ছিল না। বাজারে ঢোকা বা বের হওয়ার সময় কাউকেই হাত স্যানিটাইজ করতে দেখা যায়নি।

এ সময় ক্রেতাদের কাউকে কাউকে মাস্ক পরা নিয়ে অন্যদের সচেতন করতে দেখা যায়। বিক্রির অবস্থা আগের দুই দিনের চেয়ে ভালো বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তাঁরা আরো জানান, গতকাল সকালের দিকে ক্রেতা না থাকলেও বিকেল থেকে বিক্রি বাড়তে থাকে। আজ সকাল থেকে আরো জমজমাট।

এদিকে গাবতলী হাটও পুরোপুরি জমে উঠেছে। যানজটের কারণে গরু নিয়ে ফেরার সময়ও অনেকেই ভোগান্তিতে পড়েছে। গাবতলীসহ অন্য হাটগুলোতে গতকাল ছাগলের বাজার মন্দা ছিল। তবে আজ সেই মন্দা কাটিয়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গাবতলীতে উট ও দুম্বাও উঠেছে।

ইউকে/এএস