চাঁদপুর সংবাদদাতা: কঠোর লকডাউনের কারণে পর্যটনকেন্দ্রগুলো সব বন্ধ। চাঁদপুর জেলায় অনেক দর্শনীয় স্থান থাকলেও পদ্মা-মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মোহনার বড় স্টেশন মোলহেড সব বয়সী মানুষকে আকৃষ্ট করে।
জেলার বাইরে থেকে আসা ভ্রমণপিপাসুদের তাৎক্ষণিক রূপালি ইলিশ দেখানোর জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে ‘ইলিশ সেলফি স্ট্যান্ড’। এটির কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। তবে ঘুরতে আসা লোকজনের বেশিরভাগেরই প্রতীকী রূপালি ইলিশের প্রতি আকর্ষণ।
চলতি মাসের কঠোর লকডাউন শুরু হলে শহরের প্রধান পর্যটনকেন্দ্রে আসা নিষিদ্ধ করে দেয় প্রশাসন। এরপরও নির্দেশনা অমান্য করে কেউ কেউ এখানে ঘুরতে এসে জরিমানা গুনেছেন। আবার অনেক দর্শনার্থীদের ২০ মিনিট বসিয়ে রেখে প্রতীকী শাস্তি দিয়েছেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। তারপরেও নিরিবিলি এই স্থানটিতে মানুষ সুযোগ পেলেই চলে আসছে মানুষ।
লকডাউন শিথিল হওয়ার কারণে অনেক লোকজন ঘুরতে এসেছেন এখানে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ নারী ও শিশু।
শোয়াইব রহমান নামে ঘুরতে আসা এক দর্শনার্থী জানালেন, তার দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। লকডাউনে বের হতে পারেননি। শিশুদের আবদার রক্ষায় এখন আসা। তবে দুই শিশুকে তিনি মাস্ক পরিয়ে এনেছেন। ছবি তুলেছেন ‘ইলিশ সেলফি স্ট্যান্ড’ ও রক্তধারার সামনে।
‘ইলিশ সেলফি স্ট্যান্ড’ এর তুলি শিল্পী নিমাই সরকার বলেন, এটিকে রূপালি ইলিশের আদলে রঙ করতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে। প্রায় ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ ও পানি উন্নয়নের কর্মকর্তারা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। পর্যটনকেন্দ্রের সব কাজই সরাসরি জেলা প্রশাসক তত্ত্বাবধান করেন।
চাঁদপুরের তরুণ কবি ও লেখক রফিকুজ্জামান রণি বলেন, তিন নদীর মোহনা এমনতেই সুন্দর। কিন্তু নতুন করে ইলিশের নান্দনিক এ ভাস্কর্যটি চাঁদপুরের সৌন্দর্য অনেক বেশি বাড়িয়ে দিয়েছে। কাছ থেকে এটি দেখলে মনে হয় সত্যিকারে ইলিশের পাশেই আছি।
সাংস্কৃতিক সংগঠক শরীফ চৌধুরী বলেন, ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর’ নামে আমাদের জেলা ব্র্যান্ডিং হয়েছে। যার কারণে ইলিশকে ঘিরেই আমাদের সব। মোহনায় যে ইলিশ ভাস্কর্যটি তৈরি হয়েছে, এটি ইলিশের মত। তবে আরো সুন্দর হওয়ার প্রয়োজন ছিলো।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী শবে বরাত বলেন, ইলিশ ব্যবসায়ী হিসেবে সারাদিন ইলিশ মাছ নিয়ে নাড়াচাড়া করতে হয়। প্রশাসন এর পক্ষ থেকে মোহনায় যে ইলিশের নমুনা তৈরি করা হয়েছে, এটি হুবহু ইলিশের মত না হলেও সাধারণ মানুষ এটাকে রূপালি ইলিশ হিসেবে ধরে নেবে। এটার প্রতিই এখন দর্শনার্থীদের আকর্ষণ।
ইউকে/এএস