কোরবানির বর্জ্য অপসারণে আবারও রাসিকের রেকর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র ঈদুল আজহার দিন রাতের মধ্যে কোরবানির সকল বর্জ্য অপসারণ করেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। গতবারের মতো এবারও দ্রুত সময়ে কুরবানির বর্জ্য অপসারণে রেকর্ড করলো রাসিক। ঈদের পরদিনই পরিচ্ছন্ন নগরী পেলেন মহানগরবাসী।

কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সহযোগিতা করায় নগরবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। এরআগে ঈদের দিন বুধবার (২১ জুলাই) বিকেলে নগরীর পদ্মাপাড়ে বড়কুঠি সেকেন্ডারী ট্রান্সফার স্টেশনে বর্জ্য অপসরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মেয়র।

রাসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ মামুন জানান, সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের দিক-নির্দেশনায় ঈদের দিন রাতের মধ্যেই নগরীতে কুরবানির সকল বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে পশু কোরবানির জন্য এ বছর মোট ২১০টি পয়েন্ট করে দেয়া হলেও, মুসল্লিরা যত্রতত্র কোরবানি করেছেন। সেই বর্জ্য অপসারণে সকাল ১০টা থেকে কাজ শুরু করে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। রাত ৩টার মধ্যে সকল বর্জ্য অপসারণ করা হয়। পশু কুরবানির স্থানসমূহ পানি দিয়ে পরিষ্কার করা এবং ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হয়েছে। নগর পিতার কথা অনুযায়ী এবারও ঈদের পরদিনই নগরবাসীকে পরিচ্ছন্ন শহর উপহার দেয়া সম্ভব হয়েছে।

এর আগে ঈদ-উল-আজহা উদযাপনে পরিচ্ছন্ন বিভাগকে সকল নির্দেশনা দেওয়া হয়। সকল পরিচ্ছন্নতা কর্মীর ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়। কোরবানির বর্জ্য অপসারণ, কোরবানি পশু জবেহকরণ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে মসজিদে ইমামদের মাধ্যমে মুসল্লিদের অনুরোধ জানানো হয়। নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে কোরবানির স্থানসমূহে ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর ব্যবস্থা করা হয়।ঈদের পরের দিন নগরীর কোথাও যেন কোন প্রকার পশুর রক্ত মল মুত্র না থাকে এ বিষয়ে পরিচ্ছন্ন বিভাগের সকলকে নির্দেশনা দেয়া হয়। সার্বক্ষনিক মনিটরিং এ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়।

ইউকে/এসই/এসএম