বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: ঈদুল আজহার ছুটি শেষে আজ শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এবারের লকডাউন সবচেয়ে কঠোর হবে বলে সরকারের তরফে আগেই জানানো হয়েছে। মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ সব ধরনের দোকানপাট, গণপরিবহন এবং শিল্পকারখানা বন্ধ থাকবে। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সকাল থেকে রাজধানীতে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গণপরিবহন ঢুকলেই চেকপোস্টগুলোতে নেওয়া হচ্ছে আইনি ব্যবস্থা।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর রাসেল স্কয়ার মোড়ের পুলিশ চেকপোস্টে দেখা যায়, সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে হানিফ, শ্যামলী, এম. ট্রাভেল ও রাজধানীর দেওয়ান পরিবহনসহ মোট ৫টি বাস এখানে আসে। বাসগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। প্রতিটি বাসকে ২ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বিধিনিষেধ মানেননি কেনো জানতে চাইলে শ্যামলী পরিবহনের সুপারভাইজার বলেন, কুড়িগ্রাম থেকে আসলাম। সায়দাবাদ বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি পার্কিং করব। রাস্তায় জ্যাম থাকায় আসতে দেরি হয়ে গেছে। তাই পুলিশ মামলা দিয়েছে। বিধিনিষেধের বিষয়টা জানতাম। এখন পরিস্থিতির শিকার।
বাকি বাসের চালকরাও রাস্তায় জ্যামের বিষয়টি জানিয়েছেন। অন্যদিকে রাজধানীর দেওয়ান পরিবহনের চালক শাহিন জানিয়েছেন, তিনি বাসে তেল ভরতে যাচ্ছেন।
বাসগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা কেনো নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে ওই চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করা ধানমন্ডি ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহিদ আহসান বলেন, বিধিনিষেধে গণপরিবহন চলার কোনো সুযোগ নেই। যে কারণেই হোক, তারা রাজধানীতে প্রবেশ করেছে। তাই তাদের জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে বিধিনিষেধের সময়ে যেসব বিষয় কঠোরভাবে মানতে হবে তা গত ১৩ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে বলা হয়েছে।
ইউকে/এএস