বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: করোনা সংক্রমণে এবার মারা গেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি নূরুল হক। গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) বিকেল সোয়া ৪টা ১০ মিনিটে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্চা কেন্দ্রে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মৃত্যুকালে কবি নূরুল হকের বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ১০টায় নেত্রকোনার মদন উপজেলার বালালি গ্রামে জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে তাঁকে।
নেত্রকোনার মদন উপজেলার বালালী গ্রামে ১৯৪৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন কবি নূরুল হক। ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি করা কবি নূরুল হক নেত্রকোনা সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করে অবসরে যান। ওই কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর পাস করেন কবি নূরুল হক। ষাটের দশকে কবিতা লেখা শুরু করলেও মাঝে দীর্ঘ বিরতি দিয়ে আশির দশক থেকে ফের লেখালেখি শুরু করেন। তাঁর কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে, ‘শাহবাগ থেকে মালোপাড়া’, ‘সব আঘাত ছড়িয়ে পড়েছে রক্তদানায়’, ‘একটি গাছের পদপ্রান্তে’, ‘মুক্তিযুদ্ধের অসমাপ্ত গল্প ও অন্যান্য কবিতা’, ‘এ জীবন খসড়া জীবন’।
কবি নূরুল হকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, নূরুল হক আমাদের কবিতাজগতের এক স্বতন্ত্র নাম। গত শতকের ষাটের দশকে বাংলাদেশের কবিতায় তাঁর উজ্জ্বল আবির্ভাব। ‘সব আঘাত ছড়িয়ে পড়েছে রক্তদানায়’-সহ কয়েকটি কাব্যগ্রন্থে কবি হিসেবে নূরুল হকের অনন্যতার স্বাক্ষর রয়েছে।
ইউকে/এএস