হারে শুরু আর্জেন্টিনার অলিম্পিক

ক্রীড়া বিভাগ: এথেন্স ২০০৪ ও বেইজিং ২০০৮ অলিম্পিকে স্বর্ণ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। সেই সুখস্মৃতি ফেরাতে এবার টোকিওতে দলটি। কিন্তু শুরুতেই বড় হোঁচট খেয়েছে তারা। নিজেদের শুরুটা ভালো হলো না দুইবারের স্বর্ণ জয়ী দলটির। অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কাছে হেরেই গেছে তারা।

বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) জাপানের সাপ্পোরোয় ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সকারুদের হয়ে গোল দুটি করেছেন লাচল্যান্ড ওয়ালস ও মার্কো টিলিও। দুটি গোলই তৈরি করে দিয়েছেন মিচেল ডিউক।

ম্যাচজুড়ে ছিল ফাউল আর হলুদ কার্ডের ছড়াছড়ি। অস্ট্রেলিয়া ১৭টি ও আর্জেন্টিনা ১৫টি ফাউল করেছে। তাতে অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়রা পায় ৭টি হলুদ কার্ড। অর্জেন্টিনার তিন হলুদ কার্ডের মধ্যে দুটি পান ফ্রান্সিসকো ওর্তেগা।

আক্রমণে এগিয়ে থাকলেও প্রতিপক্ষের গোলমুখে আর্জেন্টিনা ছিল ব্যর্থ। মোট ১২টি শটের ৫টি তারা লক্ষ্যে রাখতে সক্ষম হয়। অন্যদিকে, ৮ শটের মধ্যে পোস্টে রাখা ৫টি থেকে দুটি গোল তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

প্রথমার্ধ থেকেই বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে ফের্নান্দো বাতিস্তার শিষ্যদের। খেল শুরুর পর থেকেই মাঝমাঠের দখল ছিল অস্ট্রেলিয়ার। আর ১৪তম মিনিটেই আলবিসেলেস্তেদের ডিফেন্সে ফাটল ধরায় তারা। ডিউকের নিচু ক্রস থেকে থেকে দারুণ এক শটে গোল আদায় করে নেন ওয়ালস (১-০)।

গোল খেয়ে কিছুটা উজ্জীবিত হয়ে খেলার চেষ্টা করে আর্জেন্টাইনরা। ১৭তম মিনিটে গোল করার মতো একটি সুযোগ তৈরি করেছিলেন এজেকুয়েল বার্কো। কিন্তু ফের্নান্দো ভেলেনজুয়েলার শট প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার ব্লক করলে নষ্ট হয় সে সুযোগ।

তবে আর্জেন্টিনার জন্য বড় হতাশা তৈরি হয় ৩৪তম মিনিটে। বার্কোর শট বারপোস্টে লেগে ফিরে না আসলে সমতায় ফিরতে পারতো দলটি। তার উপর বড় ধাক্কা খায় প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে। মাত্র তিন মিনিটের ব্যবধানে দুটি হলুদ কার্ড দেখে মাঠ থেকে বহিষ্কার হন ফ্রান্সিস্কো ওর্তেগা।

১০ জনের দল নিয়েও দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধের চেষ্টা করেছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু অলআউট খেলতে গিয়ে উল্টো ৮০তম মিনিটে আরও একটি গোল হজম করে দলটি। ডিউকের আরও একটি নিখুঁত পাস থেকে লক্ষ্যভেদ করেন টিলিও। ফলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় আর্জেন্টিনাকে।

‘সি’ গ্রুপের অপর ম্যাচে এদিন মিশর অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সঙ্গে ড্র করেছে স্পেন অনূর্ধ্ব-২৩ দল।

ইউকে/এএস