লাইফস্টাইল বিভাগ: ডাবের পানি অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি পানীয়। ডাবের পানিতে যে পরিমাণ ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে তা অনেকের জানা নেই।
পুষ্টি উপাদান: প্রতি ১০০ গ্রাম ডাবের পানিতে জলীয় অংশ ৯৫ গ্রাম খনিজ পদার্থ ০.৩ গ্রাম আমিষ ২.৩ গ্রাম শর্করা ২.৪ গ্রাম. চর্বি ০.১ গ্রাম,ক্যালসিয়াম ১৫ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ০.০১ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি ১-০.১১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-বি২ ০.০২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-সি ৫ মিলিগ্রাম ও খাদ্যশক্তি ২৩ কিলোক্যালরি।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: রিবোফ্লেবিন, নিয়াসিন, থায়ামিন এবং পেরিডক্সিন সমৃদ্ধ ডাবের পানি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে সহায়তা করে। এছাড়া এর অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যকটেরিয়াল উপাদান বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের আক্রমণ থেকেও রক্ষা করতে সহায়তা করে।
ওজন কমায়: ওজন কমানোর জন্য ডাবের পানি দারুন কাজ করে থাকে। যেকোন চিনিযুক্ত ফলের জুসের চাইতে বেশি কাযকরী এই ডাবের পানি। কারণ ডাবের পানিতে বিন্দুমাত্র ফ্যাট নেই।
উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: ডাবের পানি আমাদের শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে। ডাবের পানির প্রাকৃতিক মিনারেল শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং সেই সাথে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে। এতে করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে এবং এর পাশাপাশি অন্যান্য কার্ডিওভ্যসকুলার রোগের সম্ভাবনা কমে।
বয়সের ছাপ দূর করে: নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে আপনার মুখে বয়সের ছাপ দূর হবে। ডাবের পানি পান করার পাশাপাশি ত্বকে সরাসরি ডাবের পানি ব্যবহারও অনেক উপকারি।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: ডাবের পানি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে থাকে। বদহজমের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা নিয়মিত ডাবের পানি পান করার অভ্যাসে সহজেই দূর করা সম্ভব।
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস দূর করে: ডাবের পানি ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস দূর করতে সাহায্য করে থাকে। এটি ত্বকের জন্য বিশেষভাবে কার্যকরী। নানা সমস্যা যেমন ব্রন,মেছতা, ছোপ ছোপ দাগ, উজ্জ্বলতা হারানো, ত্বকের ইনফেকশন এই সব সমস্যা দূর করে নিয়মিত ডাবের পানি পান করার অভ্যাস।
ইউকে/এএস