স্ত্রী-সন্তানকে ‘হত্যার’ পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেন নিজেও

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: রাজধানীর কামরাঙ্গিরচরে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধারের পর এটিকে হত্যাকাণ্ড বলেই ধারণা করছে পুলিশ। আর হত্যাকারী হিসেবে সন্দেহের তীর গৃহকর্তা মুকুন্দ চন্দ্র দাসের দিকেই।

মা ও ছোট মেয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেও ঘটনার সময় একসঙ্গে অবস্থান করা বড় মেয়ে বেঁচে গেছেন। ওই বড় মেয়েই ভোরবেলা ‘কিছু একটা’ দেখেছেন। যার ফলে মা-ছোট বোনকে হত্যাকারী হিসেবে বাবাকেই চিহ্নিত করছেন বড় মেয়ে।

এদিকে পুলিশ বলছে, ঘটনার পর মুকুন্দ চন্দ্র চাড়পোকা মারার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শনিবার (২৪ জুলাই) সকালে খবর পেয়ে কামরাঙ্গীরচরের নয়াগাঁও এলাকার তুলাগাছতলায় একটি বাসা থেকে মা ফুলবাশি (৩৫) ও তার মেয়ে সুমির (১১) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত দুইজনের গলাতেই আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, এতে ধারণা করা হচ্ছে তাদেরকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ফুলবাশির স্বামী মুকুন্দ চন্দ্র দাস ও তার বড় মেয়ে ঝুমাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মুকুন্দকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঝুমাকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

পুলিশ সংশ্লিষ্টরা জানান, ভোরবেলা বড় মেয়ে সজাগ হয়ে তার বাবাকে ছোটবোন সুমির গলা চেপে ধরতে দেখেছেন। তবে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নিহত দুইজনেরই গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘটনার পর স্বামী মুকুন্দ চন্দ্র ছারপোকার ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তাকে বর্তমানে মিটফোর্ড হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) জসীম উদ্দিন মোল্লা বলেন, গতরাতে মা ও দুই মেয়ে খাটে ঘুমানো ছিল, আর গৃহকর্তা মুকুন্দ চন্দ্র মেঝেতে ঘুমিয়েছিলেন। ভোরের দিকে বড় মেয়ে একটা কিছু দেখেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই বিষয়টি বলা যাচ্ছে না।
মুকুন্দ কখনো মাছ ধরে বিক্রি করতেন আবার কখনো ফেরি করে বিভিন্ন মালামাল বিক্রি করে সংসার চালতেন বলে জানিয়েছেন আশে-পাশের প্রতিবেশীরা।

ইউকে/এএস