বিনোদন বিভাগ: হালিমা আদেন হচ্ছেন প্রথম হিজাবী সুপারমডেল, এবং গত বছর তিনি ক্যাটওয়াকে হাঁটা ছেড়ে দেন – এই আশায় যেন অন্য মুসলিম নারীদেরকে তাদের ধর্মবিশ্বাস আর কাজের মধ্যে কোন একটিকে বেছে নেবার মত কঠিন কাজটি না করতে হয়।
হালিমা বলেন,‘আমি আমার ক্যারিয়ার ত্যাগ করেছি যাতে তারা (মুসলিম মডেল) যেকোনো জায়গায় কথা বলতে জড়তাবোধ না করে। আমি চাই মেয়েরা জানুক, হালিমা তাদের সবার জন্য একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।’
সম্প্রতি বিবিসিতে প্রথম হিজাবী সুপারমডেল হালিমা আদেন ও ডিজাইনার টমি হিলফিগারের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। সেখানে তারা মডেলিং শিল্পে বর্ণবাদ ও বৈষম্য মোকাবিলার নানা দিক নিয়ে কথা বলেন। টমি হিলফিগার এর আগে হালিমাকে নিয়ে বহু ফ্যাশন প্রচারাভিযানে একসঙ্গে কাজ করেছেন।
মডেলিং ছাড়ার বিষয়ে হালিমা আদেন বলেন, ‘আমার হিজাব ক্রমশ ছোট হয়ে আসছিল। আমি এমন এক জায়গায় পৌঁছেছিলাম যেখানে আমি নিজেকে যেভাবে দেখি তার থেকে অনেক দূরে সরে যাচ্ছিলাম।’
হালিমা বলেন, ‘একবার আমি একটা শুটিংয়ে ছিলাম, সেখানকার আরেকটি মুসলিম মেয়ে ছিল যে হিজাব পরতো। ওরা আমাকে আমার পোশাক পরিবর্তনের জন্য আলাদা একটা কুঠরি দিল কিন্তু ওই মেয়েটিকে বললো- একটা বাথরুমে গিয়ে পোশাক পরিবর্তন করতে। তো যখন আমি দেখলাম, আমাদের প্রতি সমান আচরণ করা হচ্ছে না- সেটা আমার একেবারেই ভালো লাগেনি।’
‘আরেকদিন তাকে পোশাক বদলানোর জন্য এমন একটা জায়গা দেয়া হলো- যেখানে যেতে হলে পুরুষদের পোশাক পরিবর্তনের জায়গার ভেতর দিয়ে যেতে হয়। এতে আমি খুবই অস্বস্তিকর একটা পরিস্থিতিতে পড়ে গিয়েছিলাম’ যোগ করেন হালিমা।
অপরদিকে ডিজাইনার টমি হিলফিগার বলেন, ‘আমার মনে হয় ফ্যাশন শিল্পের জন্য এটা একটা বার্তা যে, তাদের জেগে উঠতে হবে। কারণ আমার মনে হয়, অন্য ব্র্যান্ড ও ডিজাইনাররা বলছিল, আমরা কি কোনো ভুল করলাম?’
সাক্ষাৎকারে টমি হিলফিগার হালিমাকে বলছিলেন, ‘এটা শুনলে আমি খুব বিপন্নবোধ করি, কিছু মানুষ বা স্টাইলিস্ট আছে- তারা আপনি যা বা আপনি যেভাবে চলেন, তা পাল্টে দিতে চায়।’
টমি হিলফিগার অনেক দিন ধরে ফ্যাশন শিল্পে বহুত্ববাদ ও অন্যদের জায়গা করে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড ম্যাগাজিনে হালিমা আদেন প্রথম মডেল হিসেবে বুরকিনি পরেছিলেন। ডিজাইনার টমি হিলফিগার হালিমার জন্য এই সুইমস্যুট তৈরি করেছিলেন।
সূত্র : বিবিসি বাংলা।
ইউকে/এএস