বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: প্রথমবারের মতো ভারতীয় রেলওয়ের ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ ১০টি কনটেইনারে ২০০ মেট্রিক টন তরল মেডিকেল অক্সিজেন (এলএমও) নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে।
শনিবার (২৪ জুলাই) রাত ১০টার দিকে যশোরের বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন এসে পৌঁছে অক্সিজেন এক্সপ্রেস। ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন এ তথ্য নিশ্চিত করে।
ভারতের অক্সিজেন এক্সপ্রেস গত ২৪ এপ্রিল থেকে চালু হয়। বিশেষ এই ট্রেন সার্ভিস ভারতে ৪৮০টি অপারেশন পরিচালনা করেছে। প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশেও এই প্রথম অক্সিজেন সার্ভিস দিল।
শনিবার ভারতের সাউথ ইস্টার্ন রেলওয়ের আওতায় ট্রেনটি বাংলাদেশের পথে রওনা দেয়। রাত সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ সীমান্তে পৌঁছে। লিন্ডে বাংলাদেশ নামে একটি প্রতিষ্ঠান এ অক্সিজেন আমদানি করেছে।
লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানির প্রতিনিধি শুভ জানান, ভারতে করোনা পরিস্থিতির একটু উন্নতি হওয়ায় সে দেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটি আবারও বাংলাদেশে অক্সিজেন সরবরাহ শুরু করেছে। তার ধারাবাহিকতায় প্রথমবার অক্সিজেন এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেনের ১০টি কন্টেইনারে ২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন বাংলাদেশে পৌঁছেছে। এ অক্সিজেনবাহী ট্রেনটি ভারতের জামসেদপুর থেকে বাংলাদেশে এসেছে। এটি দ্রুত খালস নিয়ে রাতেই সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্য রওনা হবে।
বেনাপোল রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার পারভিনা খাতুন জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে স্থলপথের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে রেলপথেও পণ্য আমদানি হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে অক্সিজেন এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেনে অক্সিজেন আমদানির মধ্য দিয়ে রেলখাত আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, এই প্রথম বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে রেল যোগে অক্সিজেন আমদানি করা হচ্ছে। করোনাকালীন অক্সিজেন আমদানি করা হলে তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দ্রুত খালাস করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ঈদের দিন (২১ জুলাই) পেট্রাপোল দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশে প্রায় ১৮০ মেট্রিক টন তরল মেডিক্যাল অক্সিজেন বহনকারী ১১টি ট্যাঙ্কার পাঠানো হয়। বাংলাদেশের হাসপাতালে তরল অক্সিজেনের সংকটপূর্ণ অবস্থা বিবেচনা করে বেনাপোল সীমান্তে গ্রিন করিডোর চালু করা হয়েছে।
ইউকে/এএ