বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: করোনা সংক্রমণ রোধে দ্বিতীয় দফায় শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। এই লকডাউনে সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকলেও চালু রয়েছে কিছু সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। ফলে এই কঠোর লকডাউনে নগরীতে বিপাকে রয়েছে এসব অফিসের কর্মীরা।
সোমবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে তেমন চিত্রই। বিশেষ করে মহাসড়কে যানবাহনের সঙ্কটে দুর্ভোগে পড়েছেন এই মানুষগুলো।
অফিসগামী এই মানুষগুলোর যেন ভোগান্তির শেষ নেই। সকাল থেকে যানবাহনের খোঁজ। যাদের স্টাফ বাস রয়েছে, তারা একটু শান্তি পেলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের স্টাফ বাস না থাকায় ঝামেলা পোহাচ্ছেন কর্মীরা। রিকশায় গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। যানবাহন না পেয়ে অনেককেই আবার পায়ে হেঁটেই রওনা হয়েছেন।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে একটি বেসকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী তৌহিদ হাসান বলেন, অন্যান্য বার লকডাউনের সময় সকালে বাসস্ট্যান্ডগুলোতে এসে অপেক্ষা করেছি। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু এবার তো রিকশা ছাড়া আর কিছুই চলছে না। ভাড়া গুনতে হচ্ছে অনেক বেশি।
কাকরাইলের একটি ক্লিনিকে কর্তব্যরত হাফিজুর রহমান অফিসে যাওয়ার জন্য রিকশা খুঁজছিলেন কারওয়ান বাজার মোড়ে। তিনি বলেন, কারওয়ান বাজার মোড় থেকে কাকরাইলে রিকশা ভাড়া চায় ২৫০ টাকা। তিন-চারটা রিকশাওয়ালার সঙ্গে কথা বললাম, কারো সঙ্গে ভাড়ায় মিলছে না। মাসে যা বেতন পাই, তার অর্ধেকেরও বেশি এবার চলে যাবে অফিস যাতায়াতে।
রাজধানীর অনেক বাসস্ট্যান্ডে দেখা গেছে, গাড়ি না পেয়ে অনেকে দাঁড়িয়ে আছেন। আবার কেউ কেউ পণ্য পরিবহনের ভ্যানে করে কর্মস্থলে যাচ্ছেন। পিকআপে চড়েও অনেককে যেতে দেখা গেছে।
ইউকে/এএস