নানান অজুহাতে ঘরের বাইরে আসছে মানুষ

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশে চলছে সরকার ঘোষিত দুই সপ্তাহে ‘কঠোর লকডাউন (বিধি-নিষেধ)’ । মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর ১৪,১২,১১,১০ ও ২ নম্বর এলাকার পাড়া-মহল্লা ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেখা যায় নানা অজুহাতে ঘরের বাইরে আসছে মানুষ।

সকাল থেকেই রাজধানীর মিরপুর এলাকার মোড়ে মোড়ে বসেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট। এসব চেকপোস্টে পরিবহন দেখলেই গতি রোধ করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানতে চাচ্ছেন কেন বের হয়েছেন, কোথায় যাবেন। সুনির্দিষ্ট কারণ ও প্রমাণ দিতে পারলেই পরিবহনগুলো ছাড়া হচ্ছে চেকপোস্ট থেকে।

বেসরকারি কর্মকর্তা তানভীর আলম বাজার করতে বের হয়েছেন। মিরপুর ১০ নম্বর থেকে যাচ্ছিলেন ১১ নম্বর বাজারে। তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও বাজার করতে বাইরে বের হয়েছি। এসময় দায়িত্বরত পুলিশ আমার কাছে জানতে চায় কেন ঘর থেকে বের হয়েছি? যা সত্য তাই বলেছি পুলিশকে। প্রথমবারের মতো সতর্ক করে তারা আমাকে ছেড়ে দিয়েছেন। বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে তারা (পুলিশ) আমাকে বারণ করেছেন।

মনিপুর এলাকা থেকে মিরপুর ১০ নাম্বারে এসেছেন সিরাজুল ইসলাম। প্রায় দুই মাস আগে স্ট্রোক করে তার ডান হাত অবশ হয়ে যায়। থেরাপি দিতে বাসা থেকে বের হয়েছেন তিনি। সিরাজুল বলেন, প্রায় দুই মাস আগে স্ট্রোক করি। এতে আমার ডানহাত প্যারালাইজড হয়ে যায়। এই কারণেই মনিপুর থেকে ১০ নম্বরে একটি হাসপাতালে এসেছি থেরাপি দিতে। থেরাপি দেওয়া শেষ, এখন বাসায় ফিরছি। ডাক্তার আমাকে হাঁটাচলা করতে বলেছেন। তাই আমি এখন হেঁটে হেঁটে মনিপুর যাব।

পল্লবী জোনের ট্রাফিক এসি ইলিয়াস হোসেন জানান, সড়কে যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। ব্যাংক খোলা থাকায় মানুষ বাইরে আসছেন। এছাড়াও অনেকে টিকা দিতে ও অসুস্থ থাকায় হাসপাতালে যাচ্ছেন। আমরা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। সরকারি আইন অমান্য করলেই করা হচ্ছে মামলা ও জরিমানা।

৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশ কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় থাকবে।

ইউকে/এএস