বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: এক লঘুচাপের প্রভাব কাটতে না কাটতেই সাগরে আরেকটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই লঘুচাপের ফলে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সমুদ্রবন্দরগুলোতে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুধু সাগর ও উপকূলীয় এলাকা নয় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে দেশের অভ্যন্তরেও কিছু কিছু অঞ্চলেও।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে ও গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে।
এ অবস্থায় বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্রবন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে তিন নম্বর (পুনঃ) তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে শঙ্কা দেখা দিয়েছে মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারগুলো নিয়ে। টানা অবরোধের পর কয়েক দিন আগেই গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে নেমেছেন জেলেরা। তাদের উদ্দেশ্যে সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
রাজধানীতে মঙ্গলবার সকালে দমকা হাওয়ার সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেটা কেটে যাওয়ার থেকে কখনো রোদের তীব্রতা বাড়ছে। কখনো মেঘ এসে ঢেকে দিচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, কেবল রাজধানী নয় দেশের বিভিন্ন স্থানেই কম-বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। দুপুর পর্যন্ত সবচেয়ে বর্ষণ হয়েছে কক্সবাজারে। সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে। বৃষ্টিপাতে প্রবণতা থাকবে আগামী ৩ দিন।
গত সপ্তাহেই লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছিল, যা ভারতে উড়িশ্যার দিকে গিয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে। সে সময়ও বৃষ্টিপাত বেড়েছিল। চলতি মাসে অন্তত দুটি লঘুচাপ সৃষ্টির পূর্বাভাস আগেই ছিল, যার একটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার কথা। এ পর্যন্ত নিম্নচাপ হয়নি।
ইউকে/এএস