বাংলাদেশকে জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: কভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউএস চেম্বারের ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের উদ্যোগে এসব সামগ্রী সরবরাহ করা হয়। ঢাকার মাকিন দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার জোঅ্যান ওয়াগনার এবং ইউএস–বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা সোমবার (২৬ জুলাই) রাতে জরুরি চিকিৎসা সামগ্রীর এই বিশেষ চালান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে মিলিত হন।

এই চিকিৎসা সামগ্রীগুলো যৌথভাবে অনুদান হিসেবে পাঠিয়েছে ইউএস–বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল ও প্রজেক্ট কিওর নামের একটি মার্কিন এনজিও। এই দফায় সহায়তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে সরবরাহ করা হয়েছে ৬০টি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর এবং ভ্যারিয়েবেল পজিটিভ এয়ার প্রেশার (ভিপিএপি) ইউনিটসহ অন্যান্য অক্সিজেন সরবরাহ ও যন্ত্রের খুচরা যন্ত্রাংশ। এছাড়া আছে দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে কোভিড– ১৯ আক্রান্তদের সহায়তার জন্য কেএন ৯৫ এবং এন ৯৫ মাস্কসহ ৪৫ হাজার ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম।

এই উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করেছে ইউএস–বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সদস্য শেভরন, এক্সেলারেট এনার্জি, মেটলাইফ এবং এইচএসবিসি বাংলাদেশ এবং একে সক্রিয় সহযোগিতা করেছে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস, এইএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (এইএসএআইডি), ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তর।

অনুষ্ঠানে মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার ওয়াগনার বলেন, বাংলাদেশের জনগণের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত চাহিদা মেটাতে এমন মহতি উপহার নিয়ে আমেরিকার ব্যবসায়ী নেতাদের একযোগে এগিয়ে আসতে দেখে আমার গর্ব হচ্ছে। এই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও মূল্যবান জীবন বাঁচাতে আমাদের অবশ্যই সামর্থ্যের সম্মিলিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

ইউএস–বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট নিশা বিসওয়াল বলেছেন, কাউন্সিলের সদস্যরা মহামারির এই ঊর্ধ্বগতি সামাল দিতে জরুরি ভিত্তিতে দরকার এমন চিকিৎসা সামগ্রীর সরবরাহ নিয়ে বাংলাদেশে আমাদের অংশীদার ও বন্ধুদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আমরা আশা করি, এসব সরঞ্জাম জীবন রক্ষাকারী সেবা নিশ্চিত করবে।

তিনি আরো বলেন, কাউন্সিল ও এর সদস্য, প্রজেক্ট কিওর, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সরকারের এই দৃশ্যমান অংশিদারিত্ব প্রয়োজনের সময় জরুরি সহায়তা নিশ্চিত করা এবং দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় বন্ধুত্বের প্রমাণ।

ইউকে/এএস