বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: ‘কঠোর লকডাউনে’ ভীষণ কড়াকড়ির মধ্যেও সড়কে মানুষ ও যানবাহনের চলাচল বেড়েছে। চেকপোস্টগুলোতে পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনীর টহল ছিল চোখে পড়ার মতো। তবু নানা অজুহাতে ঘর থেকে বের হয়েছেন মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কঠোর তদারকি ছিল। বাইরে বের হওয়া লোকজন নানা জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন। তবুও সড়কে মানুষ ছিল চোখে পড়ার মতো।
দুপুরে শাহবাগের সড়কে যানবাহন ও মানুষের চলাচল ছিল বেশি। এছাড়া বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ব্যাংক খোলা থাকায় বেশিসংখ্যক গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে ব্যাংকের কাজে যাদের ব্যক্তিগত বা অফিসের গাড়ি ছিল না, তাদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। পণ্যবাহী ট্রাক, রিকশা, মাইক্রোবাস, সিএনজি, মোটরসাইকেল ও অ্যাম্বুলেন্সও ছিল সড়কে অনেক বেশি।
এছাড়া রাজধানীর বাংলামটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, কলাবাগান, ধানমণ্ডি-৩২, সায়েন্সল্যাব, মিরপুর রোড, এলিফ্যান্ট রোড, বিজয় স্মরণি, তেজগাঁও, মৎস্য ভবন এলাকা ঘুরেও একই চিত্র দেখা গেছে।
সড়কে দেখা যায়, হেঁটে, মোটরসাইকেলে, বাইসাইকেলে ও ব্যক্তিগত গাড়িতে করে বাইরে বের হয়েছে মানুষ। তবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে বাইরে আসা মানুষদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। যারা অকারণে বাইরে বের হচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যদিও চেকপোস্টগুলোতে অন্যান্য দিনের চেয়ে ঢিলেঢালাভাব দেখা গেছে।
দুপুরে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে এক পথচারী বলেন, সপ্তাহের শেষ দিন আজ। ব্যাংকে কিছু কাজ ছিল বলেই বাইরে আসা। একইসঙ্গে বাজারও করতে হবে। অনেক চেকপোস্টেই পুলিশ আটকেছে। তবে ব্যাংকের নথিপত্র দেখিয়ে এসেছি।
এদিকে দুপুরের পর অনেক চেকপোস্টে কোনো পুলিশ সদস্যকে দেখা যায়নি। মানুষ কোনোরকম জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়া চলাচল করতে পেরেছে। তবে অধিকাংশ সময়ই রাজধানীতে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে পুলিশ টহল দিচ্ছে। তারা চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ি থামিয়ে বাইরে আসার কারণ জানতে চাইছে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রমও অব্যাহত আছে। এ ছাড়া পুলিশের পাশাপাশি রাজধানীতে সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে তৎপর রয়েছেন।
কারওয়ান বাজার এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর বিপ্লব ভৌমিক বলেন, অন্যান্য দিনের চেয়ে রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বেড়েছে। আজ সাইকেলে করেও অনেক মানুষকে বাইরে বের হতে দেখা গেছে। আমরা সড়কে আছি, বাইরে বের হওয়া মানুষদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। বাইরে বের হওয়া বেশিরভাগই যৌক্তিক কারণ দেখাচ্ছেন। আর যারা যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারছেন না, আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এদিকে, অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ সড়কে যানবাহন বেশির কারণে জানতে চাইলে সড়কে থাকা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্মীরা জানান, যারা বাইরে বের হচ্ছেন, তারা প্রয়োজনীয় কারণ দেখিয়েই বের হচ্ছে। সেক্ষেত্রে তাদের বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না। অন্যদিকে, কিছু কিছু অফিস খোলা রয়েছে। ফলে সড়কে মানুষের চাপ কিছুটা বেড়েছে।
ইউকে/এএস