শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি না হলে তালেবানরা একঘরে হবে

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি না হলে তালেবানদের আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের দূত।

বুধবার প্রেসিডেন্ট প্যালেসে যৌথ সমন্বয় ও পর্যবেক্ষণ বোর্ডের (জেসিএমবি) বৈঠকে আফগানিস্তানের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি ডেবোরা লিয়ঁস বলেন, শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি না হলে বিশ্ব তালেবানদের সঙ্গে কাজ করবে না।

লিয়ঁস বলেন, যদি আলোচনার টেবিলে কোনো অগ্রগতি না থাকে, তাদের নিয়ন্ত্রিত জেলাগুলোতে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নৃশংস ঘটনা ঘটে, তাহলে তালেবানদের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি কার্যকর অংশীদার হিসাবে দেখা হবে না।

তিনি বলেন, তারা বেসামরিক জনগণ, নারী এবং সংখ্যালঘুদের প্রতি কী ধরনের আচরণ করছে তা বিশ্ব নিবিড়ভাবে দেখছে। তালেবানরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দোহায় তাদের আলোচনার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট বৈধতা অর্জন করেছে, কিন্তু এই বৈধতা আফগানিস্তান সরকারের সাথে রাজনৈতিক আলোচনার প্রতি তাদের অঙ্গীকারের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যা তাদের যুদ্ধ-কেন্দ্রিক কৌশল সন্দেহের মধ্যে ফেলে দেয়।

লিয়ঁস বলেন, কোনো বড় দাতা নারীদের দমন-পীড়নের জন্য অর্থায়ন করবে না। সংখ্যালঘুদের বৈষম্য, মেয়েদের শিক্ষা অস্বীকার বা স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের আদেশকে অর্থায়ন করবে না।

তিনি আরও বলেন, দাতারা আফগানিস্তান সরকারের কাছ থেকে আশ্বাস চান যে তারা বর্তমান সংকটের প্রকৃতিকে স্বীকৃতি দেয় এবং এর কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে যা এটিকে সমাধান করে।

এর মধ্যে আফগান প্রেসিডেন্ট ঘানি বৈঠকে আরও বলেন, আমরা আফগানিস্তানের ভবিষ্যতে বিশ্বাস করি, আজকের আফগানিস্তান সত্যিই পরিবর্তিত।

১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণার কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট ঘানি বলেন, আমরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ন্যাটোর সিদ্ধান্তকে সম্মান করি।

তিনি বলেন, আমরা কখনোই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ন্যাটোকে আফগানিস্তান থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বলিনি। আফগানদের উচিত তাদের ভবিষ্যৎ নিজেরাই তৈরি করা।

ইউকে/এএস