বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকি এড়ানোর লক্ষ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক জনস্বার্থে একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করে। বাংলাদেশ ব্যাংক একে স্পষ্টিকরণ বিজ্ঞপ্তি বলেও উল্লেখ করে।
এর আগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) লেখা এক চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রিপ্টোকারেন্সির সংরক্ষণ, লেনদেন অপরাধ নয় বলে মন্তব্য করেছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং ইন্টারনেট থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায় যে ক্রিপ্টোকারেন্সি, যেমন বিটকয়েন, ইথেরিয়াম, রিপল ও লাইটকয়েন বিভিন্ন জায়গায় লেনদেন হচ্ছে। এসব ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা কোনো দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ ইস্যু করে না। ফলে এ মুদ্রার বিপরীতে কোনো আর্থিক দাবি স্বীকৃত নয়। এসব মুদ্রায় লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্য কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনুমোদন করে না। সে কারণে এর ব্যবহার বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭; সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ সমর্থন করে না। অনলাইনে নামবিহীন বা ছদ্মনামধারী প্রতিসঙ্গীর সঙ্গে লেনদেনে অনিচ্ছাকৃতভাবে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধবিষয়ক আইন লঙ্ঘন হতে পারে।
মূলতঃ অনলাইন ভিত্তিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভাচুর্য়াল মুদ্রায় অর্থমূল্য পরিশোধ ও নিষ্পত্তি সংঘটিত হয় এবং এটি কোন কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ/পেমেন্ট সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ কতৃর্পক্ষ কর্তৃক স্বীকৃত না হওয়ায় গ্রাহকগণ ভার্চুয়াল মুদ্রার সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকিসহ বিভিন্ন ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন। এমতাবস্থায় সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকি এড়ানোর লক্ষ্যে বিটকয়েনের ন্যায় ভাচুর্য়াল মুদ্রায় লেনদেন বা এসব লেনদেনে সহায়তা প্রদান ও এর প্রচার হতে বিরত থাকার জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
ইউকে/এএস