দুর্ভোগ নিয়েই রাজশাহী ছাড়ছেন শ্রমজীবী মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক: শিল্প-কারখানা খোলার আকস্মিক সিদ্ধান্তের পর রাজশাহী থেকে রাজধানী মুখে ফিরতে শুরু করেছেন শ্রমজীবী মানুষ। রাজশাহী থেকে বাস-ট্রেনসহ দূরপাল্লার সব পরিবহন বন্ধ।

এরপরও জীবিকার তাগিদে যে যেভাবে পারছেন, কর্মস্থলে ফেরার প্রাণপণ চেষ্টা করছেন।

শিল্প-কারখানার মালিকদের সুপারিশের পর সরকার গার্মেন্টস ও কল-কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এর প্রজ্ঞাপন জারির পরপরই রাজধানীমুখী হতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ।

শনিবার (৩১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহানগরীর কাটাখালী এলাকায় আসা রাজিয়া সুলতানা নামে এক পোশাক শ্রমিক বলেন, পোশাক কারখানা থেকে ফোন এসেছে কর্মস্থলে ফেরার।

হঠাৎ করে পোশাক কারখানা খোলার এমন সিদ্ধান্ত আসায় তিনি বিপাকে পড়েছেন। কারণ রাজশাহী থেকে সব ধরনের পরিবহন বন্ধ। কিন্তু চাকরি বাঁচাতে হলে যেকোনো মূল্যে তাকে কর্মস্থলে ফিরতেই হবে। এজন্য তিনি এখানে এসেছেন ট্রাক বা অন্য কোনোভাবে গাজীপুর ফেরার জন্য। সেখানে অপেক্ষায় ছিলেন, সাদিকুল ইসলাম নামে আরও এক পোশাক শ্রমিক। তিনি জানান, রাজধানীর রামপুরায় ফিরতে হবে তাকে। কাল সকালের মধ্যেই ঢাকা যেতে গার্মেন্টেসের প্রোডাকশন ম্যানেজার তাকে ফোন করেছেন। তাই সকাল থেকে রাজধানীমুখী ট্রাক বা অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষা করছেন। পেলে যত টাকাই ভাড়া লাগুক আজ তাকে রাজধানীতে ফিরতেই হবে।

পরিবহন চালু না করে শিল্প ও কল-কারখানা খোলার এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হয়নি বলে এ সময় মন্তব্য করেন সাদিকুল। তিনি বলেন, এতে তার মত শ্রমজীবী মানুষকে যারপরনাই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এর ওপর করোনা ঝুঁকি নিয়েই গাদাগাদি করে তাদের মত শ্রমিকদের ফিরতে হচ্ছে। এদিকে মহাগরীর শিরোইল

এলাকায় মিনি ট্রাকে উঠছিলেন নূরজাহান। তিনি বলেন, ট্রাকে করে যাওয়া ছাড়া এখন আর কোনো উপাই নেই। কারণ সব পরিবহন বন্ধ। আর কারখানা খোলা হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই তাদের ফিরতে হচ্ছে। এই ট্রাকে রাজশাহী থেকে তারা ১৭ জন উঠেছেন। পথে পথে আরও উঠবে। এতে ভাড়া বেশি লাগছে। একেক জনের কাছ থেকে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। অথচ বাসে গেলে ৬ থেকে ৭শ টাকা লাগতো। কিন্তু কিছু করার নেই। তাই নিরুপায়ের মত বাড়তি ভাড়া দিয়েই তাদের ফিরতে হচ্ছে বলে জানান নূরজাহান।

ইউকে/এএস