বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: অফশোর তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ চেয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে আমেরিকান বহুজাতিক তেল ও গ্যাস করপোরেশন এক্সনমোবিলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ বিনিয়োগ চান।
রোববার (১ আগস্ট) ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানায়।
উপদেষ্টা বাংলাদেশে জ্বালানি খাতে মার্কিন কোম্পানিগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেন। এ ক্ষেত্রে তাদের আরও অবদানকে স্বাগত জানান। বৈঠকে তিনি এক্সনমোবিলের কর্মকর্তাদের বাংলাদেশে, বিশেষ করে অফশোরে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করেন।
তিনি বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তির জন্য স্টোরেজ সুবিধা নির্মাণে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, বিভিন্ন জ্বালানি উৎসের সুষম ব্যবহার বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
উপদেষ্টা স্বীকার করেন, এক্সনমোবিলের মতো কোম্পানিগুলো যারা বাংলাদেশে এলএনজি ব্যবসা করতে ইচ্ছুক তাদের দামের অস্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে হেজিংয়ের গ্যারান্টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তিনি এক্সনমোবিলকে গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান ত্বরান্বিত করতে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক ও স্থলভিত্তিক ফ্যাসিলিটি নির্মাণে বিনিয়োগে আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়নের গতি ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় জ্বালানির চাহিদা নিশ্চিত করতে এক্সনমোবিল বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম সহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ দূতাবাস ও এক্সনমোবিলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরীর উপস্থিতিতে ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোং লিমিটেড এবং কমনওয়েলথ এলএনজির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। উপদেষ্টা এমওইউ স্বাক্ষরকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান জ্বালানি সহযোগিতার আরও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে অনুরূপ পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এদিকে, ২৯ জুলাই উপদেষ্টা ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
ইউকে/এএস