ভয়ংকর হয়ে উঠছে ডেঙ্গু

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: করোনাভাইরাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভয়ংকর রূপ ধারণ করছে ডেঙ্গু সংক্রমণ। চলতি বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার খবরের মধ্যে এত দিন পর্যন্ত এক দিনে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দুই শর নিচে ছিল, গতকাল রবিবার তা বেড়ে পৌঁছে গেছে ২৩৭ জনে। এটাই এ বছর এক দিনে হাসপাতালে ভর্তির সর্বোচ্চ সংখ্যা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাজধানীর ডেঙ্গু রোগীদের ৬৯ শতাংশই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের; বিপরীতে উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার রোগী ৩১ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গতকাল সকাল পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২৩৭ ডেঙ্গু রোগী; এর মধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২১৮ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আরো ১৯ জন। বর্তমানে দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৮৬২ জন। এর মধ্যে ঢাকাতেই ভর্তি রয়েছে ৮২৮ জন। বাকি ৩৪ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ছাড়া ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে দুই হাজার ৮৯৫ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছে দুই হাজার ২৯ জন।

এদিকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এডিস মশা নির্মূল করে ডেঙ্গু সহনীয় পর্যায়ে আনতে সিটি করপোরেশনের সব কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। গতকাল ঢাকা দক্ষিণের মশা নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতামূলক মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে মন্ত্রী বলেন, রাজধানীবাসীকে মশামুক্ত রাখতে মন্ত্রণালয় এবং সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সবাই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। চলমান কার্যক্রমকে আরো বেগবান করার লক্ষ্যেই এই সভার আয়োজন। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করে একটি সন্তোষজনক জায়গায় পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

তবে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘এ মাসের মধ্যে ডেঙ্গু রোগী শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে। এখন প্রতিটি ওয়ার্ডকে ছোট ছোট এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এসব এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, কাউন্সিলর, মশক সুপারভাইজাররা অভিযান চালাবেন। এ ছাড়া ডেঙ্গু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সোমবার (আজ) নগর ভবনে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে।’

ইউকে/এএস