টাকা দিলে ভাইরাল করে দিব, এমপি হওয়া ফাইনাল, হেলেনার অডিও ফাঁস

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: টাকা দিলে ভাইরাল করে দিব, এমপি হওয়া ফাইনাল, হেলেনার অডিও ফাঁস
‘টাকা টুকা দিবে? টাকা দিলে একেবারে ভাইরাল করে দিব। একদম।

পরবর্তীতে এমপি ফাইনাল। আমি তো ভাইরাল করার ওস্তাদ। ’ কথাগুলো অপরপ্রান্তের অজ্ঞাত একজনকে বলছিলেন র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নেত্রী এবং জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা হেলেনা জাহাঙ্গীর (হেজা)। কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপস এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।

অপর একটি অডিও ক্লিপসে হেলেনা জাহাঙ্গীর তার ব্যক্তিগত সহকারীকে বলছিলেন, মেহেদী নামের একজন মালয়েশিয়া প্রবাসীর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নেওয়ার জন্য। তাহলে তাকে মালয়েশিয়ার ব্যুরো চিফ বানিয়ে দিবেন। অন্যদিকে, হেলেনার প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের তালিকা করছে পুলিশ। তবে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।

এদিকে, প্রথম অডিও ক্লিপসের অপরপ্রান্তের অজ্ঞাত ব্যক্তি হেজা-কে বলছিলেন, কাল পরশু নতুন একটা গেস্ট পাঠাব। বিএনপির এক নেতা আছে তো! হেজার প্রশ্ন ছিল, বিএনপি না আওয়ামী লীগ? অপরপ্রান্ত থেকে বলা হচ্ছিল, আরে বিএনপির। মোংলার রামপাল আছে না? ওখানের এমপি ইলেকশন করছিল। হেজা বলছিলেন, ‘টাকা টুকা দিবে?’

অজ্ঞাত সেই লোক বলছিলেন, আরে নাহ। এমনি যাবে। হেজার উত্তর ছিল, টাকা দিলে একেবারে ভাইরাল করে দিব। একদম। পরবর্তীতে এমপি ফাইনাল। আমি তো ভাইরাল করার ওস্তাদ। অপরপ্রান্ত থেকে ওই ব্যক্তি বলছিলেন, প্রাথমিক স্টেজে তো চাওয়া যায় না! আগে ইনভলব করি। এদের তো পরে মুরগি বানাব। আরেকটি ক্লিপসে হেলেনা জাহাঙ্গীর ও তার ব্যক্তিগত সহকারীর মধ্যকার কথোপকথনে হেজা বলছিলেন, মালয়েশিয়ার মেহেদী আছে না? ও বারবার আমাকে ডিস্টার্ব করতেছে। এসএমএস-এ। বিভিন্ন মানুষকে দিয়ে কল করাচ্ছে। তুমি তাকে বলবা ঠিক আছে, আপনি ৫ লাখ টাকা দেন। ম্যাডামকে আমি রাজি করাই। ইউ মেক পলিসি এপ্লাই। বুঝছ? পলিসি মেক না করলে মেকার হতে পারবে না।

অপরপ্রান্ত থেকে পিএস বলছিলেন, আজকে কি কল করেছিল ম্যাম? হেজা বলছিলেন, নানান মানুষকে দিয়ে আমাকে ফোন করাচ্ছে। পুলিশ আছে না একটা? অপরপ্রান্ত থেকে বলছে, পারভেজের কথা কি বলে? হেলেনা বলেন, ওর কথা বাদ। তুমি বল মাসে ১ লাখ করে টাকা দেন। ৫/৬ মাস পর আপনাকে ব্যুরো চিফ বানাইয়া দিব মালয়েশিয়ার। আমাদের তো এখন টাকা দরকার। আমাকে দিয়েন না। অফিসকে দেন।

মামলার তদন্তের বিষয়ে ডিসি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, আমাদের কাছে থাকা অপর মামলার তদন্ত চলছে। আমরা যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এই মামলায় হেলেনাকে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

ইউকে/এএস