বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: যেসব স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় তার মধ্যে ৬৫ শতাংশই নির্মাণাধীন ভবনে। ২৫ শতাংশ লার্ভা পাওয়া যায় ওয়াসার মিটারে। আর বাদবাকি লার্ভা পাওয়া যায় টায়ার, টব, কমোডের জায়গায়।
সোমবার (২ আগস্ট) মশার লার্ভা নিধনে রাজধানীর মিরপুরে এক অভিযানে এসে এমন তথ্য দেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
আতিক বলেন, আমরা যেখানে এডিস মশার লার্ভা পেয়েছি তার মধ্যে ৬৫ শতাংশই হচ্ছে নির্মাণাধীন ভবনে। ২৫ শতাংশ পেয়েছি ওয়াসার মিটারে। আর বাকিগুলো টব, টায়ার এবং ডাবের খোসার মতো অপ্রয়োজনীয় জিনিসে। মোহাম্মদপুরে গিয়ে একটি গ্যারেজে দইয়ের বাটিতে লার্ভা পেয়েছি। আমরা কিন্তু বাসাবাড়িতে যেতে পারি না। কোনো বাড়ির ছাদে যেতে পারি না, ব্যালকনিতে যেতে পারি না। এগুলো আমাদের নিজেদের যার যার বাড়িতে নিজেদেরকেই করতে হবে। নিজের বাড়িতে নিজে কাজ করতে কোনো লজ্জা নেই।
মশক নিধনে জরিমানার কথা জানিয়ে আতিক বলেন, এক দিকে করোনা আরেক দিকে ডেঙ্গু। এসব রোগের বিরুদ্ধে আমাদের সামাজিক আন্দোলন করতে হবে। সুস্থতার জন্য সামাজিক আন্দোলন, এটিই এখন প্রচার করতে হবে। আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। ২৯ জুলাই পর্যন্ত সেই অভিযানে ২০৮টি স্থানে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। ৩২০টি মামলা করা হয়েছে। ২০ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাসার ঠিকানা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন আতিক। ঠিকানা পেলে রোগীর বাসার আশেপাশের এলাকায় মশার ওষুধ দেওয়াসহ লার্ভার হটস্পট ধ্বংস করা সম্ভব হতো বলে মন্তব্য করেন তিনি। ।
জনসচেতনতায় মেয়রের নেতৃত্বে মোটর শোভাযাত্রা বের করা হয়। মিরপুর এলাকায় অঞ্চল -২ এর অধীন ৮টি ওয়ার্ডে এই মোটর শোভাযাত্রা প্রদক্ষিণ করে।
এ সময় মিরপুর এলাকার সংসদ সদস্য আগা খান মিন্টুসহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।
ইউকে/এএস